দিনাজপুর জেলার বিরামপুর রেল স্টেশন থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দক্ষিনে টি/১০৩ পলাশবাড়ী বেরিয়ার সিস্টেম রেল ক্রস দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মিটার গেজ লাইনে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস সহ অন্যান্য ট্রেন ।

সরে জমিনে দেখা যায়, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি রেল ক্রস পার হওয়ার সময় লাইন দেবে গিয়ে ট্রেন হেলে (আঞ্চলিক ভাষা কাৎ ) রাস্তার কার্পেটিংয়ের সাথে ঘষা লেগে চলাচল করছে । স্থানীয় দোকানদার ও সাধারণ জনগণ জানান, রেল ক্রসিংয়ের লাইন থেকে রাস্তার কার্পেটিং প্রায় ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি উঁচু করা হয়েছে । এতে বৃষ্টির পানি এবং মাছের গাড়ির পানি পড়ে রেললাইনের ফাঁকে জমা হয়ে থাকে। যখন ট্রেন হেমারিং হয় তখন ভিতরে পাম্পিং হয়ে রাস্তার কার্পেটিংয়ের ইট -শুড়কি সরে নিচে ফাঁকা হয়ে গেছে।

পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় লাইনের ফাঁকে পানি জমা থাকে । উচ্ছুক জনৈক ব্যক্তি রেল ক্রসিংয়ের লাইনের নিচে হাত দিয়ে দেখা যায় স্লিপারের কাঠ পঁচে গেছে কাঠ নেই। রেলের পাথর ও স্লিপার না থাকায় যেকোনো সময় দুর্ঘটনার সম্ভবনা রয়েছে বলে অনেকই ধারণা করছেন।

রেল লাইন দেখভাল করার দায়িত্বে থাকা (মেট) আতিকুর রহমান জানান, রেল ক্রসিং কার্পেটিং করার সময় এলজিইডি রেল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তাঁরা করেননি । ফলে নিয়ম নীতি বহির্ভূত ভাবে প্রায় ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি উঁচু করে রাস্তার কার্পেটিং করা হয়েছে। ফলে চলাচলের সময় রাস্তার কার্পেটিংয়ের সাথে ট্রেনের ঘর্ষণ হচ্ছে।

এছাড়াও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় রেললাইনের পাথর সরে গিয়ে লাইনের নিচ ফাঁকা হয়েছে। যেকোনো সময় লাইন ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।এই বিষয়ে এলজিইডি ঠিকাদার মাসুম এর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান টেন্ডারের সিডিউল মোতাবেক কাজ করা হয়েছে ।