ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে তুচ্ছ ঘটনা ও পূর্ব শত্রুুতার জেরে হামলা গৃহবধু আহত হয়েছেন। আহত সেলিনাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন সেলিনা। ঘটনাটি ঘটেছে সম্প্রতি ঠাকুরগাঁও শহরের ঘোষপাড়া মহল্লায়।
এ বিষয়ে সদর থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ, মামলার বিবরণ ও হামলায় আহতের পরিবার থেকে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও শহরের ঘোষপাড়া মহল্লায় দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করছেন সেলিনা আক্তার (৫৫) ও তার পরিবার। তাদের পাশেই বসবাস করেন নয়ন ও তাঁর পরিবার। নয়ন সব সময়ই বিভিন্ন কারণে ও তুচ্ছ ঘটনায় সেলিনা ও তার পরিবারের লোকজন কে বকাঝকা করতেন। এরই জের ধরে বিভিন্ন সময়ে ঝগড়া হতো তাদের দুই পরিবারের মধ্যে। সম্প্রতি
(গত ১৮ই এপ্রিল) শুক্রবার সকালে সেলিনা আক্তার এর বাসার সামনে ফুলসহ বিভিন্ন লাগানো গাছগুলো শত্রুতা বশত তুলে ফেলছিলো। এটা দেখতে পেয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে সেলিনা আক্তার এর উপর নয়ন (৪৭), তার স্ত্রী পাবলী ও সালা শুভ হামলা চালায়। এ সময় তারা সেলিনা আক্তার কে শারিরীক ভাবে লাঞ্ছিত ও বেধরক মারপিট করে। সে সময় নয়ন সেলিনা আক্তার কে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। পরে সেলিনার আত্নচিৎকারে তার ছেলে সাকিব ও প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসলে নয়ন ও তাঁর পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়। পরে সেলিনাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা আধুনিক জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ এখন পর্যন্ত তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাতরাচ্ছেন তিনি।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। হামলা বিষয়ে ভুক্তভোগী সেলিনা আজ (২৩শে এপ্রিল) বুধবার হাসপাতালে অভিযোগ করে বলেন,আমি ও আমার পরিবারের লোকজন শান্তিপূর্ণভাবে ঐমহল্লায় বসবাস করে আসছি৷ কিন্তু প্রতিবেশী নয়ন বিভিন্ন সময় নানা কারণে হয়রানি ও গালি গালাজ করে আমাকে ও আমার পরিবারকে। তবুও কোন সংষর্ষ এড়াতে আমরা চুপ থাকি। কিন্তু ঘটনার দিন নয়ন আমার বাড়ির সামনের ফুলসহ বিভিন্ন গাছগুলো তুলে ফেলে।
এটার প্রতিবাদ করতে গেলে আমার উপর হামলা চালায়। অন্যায়ভাবে আমাকে মারপিট করে। আমাকে হত্যার চেষ্টাও করে। এ ঘটনার ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও বিচার পাচ্ছি নাহ আমি। এর আগেও তারা আমার স্বামী ও সন্তানের উপরেও হামলা চালায়। এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ সন্ত্রাসী নয়ন ও তাঁর পরিবারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানান তিনি।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর ভাই মো: রাব্বী জানান, এ ঘটনায় এখোনো কোন পদক্ষেপ নেওনি পুলিশ৷ এই ঘটনার বিচার না হলে ঐখানে এ ধরনের অপরাধ বাড়বে। আর নয়নের মতো সন্ত্রাসী ও তার পরিবারের কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত বলেও জানান তিনি। তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত নয়ন এর বাসায় গিয়ে ও তাকে মুঠোফোনে পাওয়া যায় নি।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার বিদায়ী ভারপ্রাপ্ত ওসি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম শহীদ ঘটনার সতত্যা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাটি শুনেছি। এ ঘটনায় ১৮ই এপ্রিল রাতে একটি অভিযোগও পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওসি।