admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ২৪ মে, ২০২২ ৮:৩৪ পূর্বাহ্ণ
নাগরিক ভাবনা: আ্যাডভোকেট আবু মহী উদ্দীনঃ সারা দেশে ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয় ২ ভাবে। কতকগুলো স্থানীয় ভাবে আবার কতকগুলি আয়োজন করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। সারা দেশে পরিচালিত ফুটবল টুর্ণামেন্ট গুলোতে মারামারি, খেলা পন্ড এমনকি প্রানহানিও ঘটেছে। তবে সবাই একমত হবেন যে , অন্যান্য কারণ থাকলেও অধিকাংশ বিরোধ হয় রেফারীদের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করেই সমস্যা উত্তরণের জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন খুব কার্যকর একটি পদক্ষেপ হাতে নিয়েছিল।
এএফসির সদর দপ্তর মালয়েশিয়া থেকে ২ জন প্রশিক্ষক এনে সপ্তাহব্যপী প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছিল। এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছিল দেশের সাবেক এবং বর্তমান ফিফা রেফারীগন , প্রাক্তন জাতীয় ফুটবল রেফারীগণ। তৎকালীন ঢাকার মেয়র মোহাম্মদ হানিফ সনদ বিতরণ করেন। আন্তর্জাতিক প্যানেল রেফারী হিসাবে সেই ট্রেনিংয়ে অংগ্রহণের সুযোগ হয়েছিল। রাজশাহী বিভাগ থেকে অপর দুজন জাতীয় রেফারী রংপুরের মন্টু ভাই, এবং রাজশাহীর হাসমত হোসেন এই ট্রেনিংয়ে ছিলেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন , ফুটবল রেফারীজ বোর্ড এবং ফুটবল রেফারী সমিতির উর্ধতন কর্মকর্তাগণ আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন, প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ বাংলাদেশ ফুটবলল ফেডারেশন আয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের জোনাল রাউন্ডের টূর্ণামেন্ট সমুহে ম্যাচ কমিশনার এবং রেফারী এসেসর হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন।
টুর্নামেন্টে উপস্থিত থেকে তারা সকল খেলা দেখবেন , রেফারীদের পারফরমেন্স লক্ষ্য করবেন, তাদেরকে ফিফার সর্বশেষ সংশোধনী সম্পর্কে অবহিত করবেন, টুর্নামেন্ট আয়োজকদের পরিচালনার মান উন্নয়নে পরামর্শ দিবেন এবং টুর্ণামেন্ট শেষে ফুটবল ফেডারেশনে নির্ধারিত ফরমে রিপোর্ট প্রেরণ করবেন। এই রিপোর্টের ভিত্তিতে সারা দেশের টুর্নামেন্ট আয়োজন এবং রেফারীদের মান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিষয়টি চালু করতে করতেই সে যুগ পার হয়ে গেলো। এর পর এলো ডি এফ এ যুগ এবং ফুটবল গেলো নির্বাসনে। ফলে ফুটবল ফেডারেশনের মহতী উদ্যোগটি মাঠে মারা পড়লো। বর্তমানের ফুটবল ফেডারেশন কর্মকর্তাদের বিষয়টি মনেও নাই, প্রয়োজনও অনুভব করেন নি। এখন কোন কাজে প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের দরকার হয়না। এখনতো আবার জেলা ফুটবল রেফারী সমিতির সেক্রেটারী হতে পাশ করা রেফারীরও প্রয়োজন হয়না। পুলিশ সুপার সাহেবগণ আবার জেলা ফুটবল রেফারী সমিতির সভাপতি। তিনি যদি বলতেন, রেফারী সাহেবরা কে কোন পর্যায়ের রেফারী , সনদ জমা দেন। তারও এসব দেখার সময় নেই। খেলাই নেই তো তিনি আবার দেখবেন কি?