admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল, ২০২২ ১০:৪৭ অপরাহ্ণ
নাগরিক ভাবনাঃ অ্যাডভোকেট আবু মহী উদ্দীন: রেলের ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি, টিকিট কালোবাজারী, সিডিউল বিপর্যয় এসবের সাথে আমরা খুবই পরিচিত এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন।আমরা মেনেই নিয়েছিলাম এ অবস্থা জীবনতক আমাদের মোকাবেলা করতে হবে। ঈদ পরিবহনে রেলের অনেক নিন্দা চর্চা হয়তো হবে। তবে এবারের ঈদ পরিবহণে রেলওয়ে অনেকগুলো ভালো পদক্ষেপ নেওয়ায় মনে করার কারন আছে রেলওয়ের আন্তরিকতা আছে সমস্যার সমাধনে। তবে কর্মযজ্ঞটা সহজ নয়। ব্যবস্থা অনুপাতে প্রচারনা একেবারেই নাই।
বিষয়গুলিতো যাত্রীদের জানাতে হবে। আমাদের আন্ত:নগর ট্রেনে অডিও সিষ্টেমটা ব্যবহার করে এ বিষয়গুলি ব্যপক প্রচার করা যেতে পারে। মোবাইল কোম্পানীগুলোর এতো যন্ত্রনাদায়ক ম্যাসেজ আমরা পাই , সেখানে রেলের এটা ম্যাসেজ পেলে আমরা অখুশী হবোনা। টিকিট কালোবাজারী ঠেকাতে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে টিকিট কাটার নিয়ম করা হয়েছে। এতে টিকিট কালোবাজারী হবার সম্ভাবনা থাকবেনা। তবে কিছু চ্যালেঞ্জও আছে। যেমন কালোবাজারীরা অসম্ভব মেধাবী। বান্ডিল বান্ডিল ভুয়া এনআইডি তৈরি করতে পারে। আবার কোন এনআইডি দিয়ে একবার টিকিট কাটলে ঐ তারিখে আর টিকিট নিতে পারবেনা। অর্থাৎ একেবারেই বিষয়টা অনলাইন হতে হবে।
আবার যাত্রা পথে আমাদের টিটি সাহেবরা যদি একটু সময় নিয়ে যাত্রী আর এনআইডি মিলিেিয় নেন তাহলেকিছুটা কাজ হবে। এবারে হয়তো কিছুটা খাতির করতে হবে। তবে সুফল পাওয়া যাবে ভবিষ্যতে। এটা কেবল ঈদে নয় সারা বছরই চালু থাকুক। তবে বিষয়টা যখন বিবেচনা করা হয়েছে চ্যালেঞ্জ যাইই আসুক মোকাবেলা করতে হবে এবং ভষ্যিতের জন্য যত ফাঁক ফোকর আছে তা বন্ধ করার পদক্ষেপ নিতে হবে। এমন ব্যবস্থা চালু করতে হবে , যাতে করে একই দিনে একই এনআইডি দিয়ে একাধিক টিকিট বা ভুয়া এনআইডি দিয়ে কোনভাবেই যেন টিকিট কাটা না যায়।
টিকিট বিক্রেতাদের সততার মাত্রা একটু বাড়াতে হবে। আমরা প্রত্যাশা করি রেলওয়ে দেশের নির্ভরযোগ্য , সাশ্রয়ী ভ্রমনের দায়িত্ব পালন করবে এবং লাভের মুখ দেখবে। এতে আখেরে আমরা দেশের মানুষ উপকৃত হবো। এই কার্যকমে যাত্রীদের দ্বায়িত্ব মোটেও কম নয়। আশা করি রেল যাত্রীরা নিশ্চয় সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন। সবাই মিলে সহযোগিতা দিয়ে রেলওয়েকে জাতীয় পরিবহণে পরিণত করে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ করি।