admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল, ২০২২ ১১:২১ পূর্বাহ্ণ
অ্যাডভোকেট আবু মহী উদ্দীন,নগরিক ভাবনাঃ মেয়াদ শেষ হওয়ায় জেলা পরিষদ ভেঙ্গে দিয়ে আপাতত: আমলাদের প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে হয়তো দলীয় লোকদের নিয়োগ করা হবে। যারা ছিল তারাতো দলীয়। মেয়াদ বাড়ালে তারাই থাকতো। ভেঙ্গে দিয়ে আপাতত: আমলাদের নিয়োগ করা হলেও কিছুদিনের মধ্যে হয়তো পদবঞ্চিতদের নিয়োগকরা হবে। আবার এটাও একটা কৌশল হতে পাওে, তা হলো নেতৃৃত্ব বাছাই করা। যিনি চেয়ারম্যান হিসাবে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি এমপির মনোনয়ন পাবেন।
প্রশাসকরাও যারা ভালো কাজ করবেন তাদের সম্মানজনক জায়গায় বসানো হবে। আবার এমন হতে পারে , প্রশাসক দিয়ে বছর পাঁচেক পার করে কোন এক মাহেন্দ্র ক্ষনে নির্বাচনের ঘোষনা দিয়ে বর্তমানে চালু মৌলিক গনতন্ত্রের আদলে জেলা পরিষদের নির্বাচনটা করে ফেলা যাবে। বর্তমান পদ্ধতিতে বিরোধী দলের কারো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার কোন সুযোগ নাই। দেশে এতো নির্বাচন করা গেল আর নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে জেলা পরিষদের নির্বাচন করা গেলনা এটা বোধগম্য নয়। মন্দের ভালো জেলা পরিষদগুলোতে নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা ছিল ,এখন সম্পুর্র্ন আমলা নির্ভর হয়ে গেলো।
এটাতো ঘোষণার নির্বাচন, অন্য কোন দলের কারো চেয়ারম্যান বা সদস্য হওয়ার কোন সুযোগই নাই। তাহলে নির্বাচন হলোনা কেন? এমনিতেই তো জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সদস্যরা উজিরে খামাখা। তাদের কোন কাজ নাই , ক্ষমতা নাই , জনবল নাই । উপজেলা পরিষদেরও কোন কাজ নাই। উপজেলা চেয়ারম্যানরা তবুও তাদের ক্ষমতা প্রাপ্তির জন্য আন্দোলন করে, হাইকোর্টে আবেদন করে। তারা মনে করেন তারা নির্বাচিত সুতরাং তাদের কিছু করা দরকার।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যারা ফোঁসফাঁসও করেনি। মন্দের ভালো নিরুপদ্রবে ৫ বছরের মেয়াদ পার করা গেছে। ভাবগতিকে পদ কেনা বেচার মৌশুম চালু হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন শহরে অমুককে জেলা পরিষদের প্রশাসক পদে দেখতে চাই। মিছিল শুরু হয়েছে, একই শহরে একাধিক ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য দাবী উঠতে শুরু করেছে। এটা সংক্রমিত হবে। সব জেলাতেই অধিক যোগ্যদের জেলা পরিষদে মনোয়ন দেওয়ার দাবী উঠবে। এতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হবে কিনা সেটা দল ই বিবেচনা করবে। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানরা এতোদিন সরকারি গাড়ী ব্যবহার করেছেন।এখনো করা দরকার। তাদেরকে ডিউটি ফ্রি গাড়ী কেনার সুযোগটা দেওয়া দরকার। তাতে তারা সম্মানিত হবেন।
আবার তাদেরকে যদি নিয়োগ দেওয়া হয় তাহলে দলে থাকা যোগ্যরা মনক্ষুন্ন হবেন। সেদিক বিবেচনা করতে হবে দলকেই। যারা ইতোপুর্বে সদস্য ছিল তারা সম্মানী ভাতা সহ অনুদান, ত্রানেরও ভাগ পেয়েছে। তারা যে বিতরন করেছে তা ফেসবুকের কল্যানে মানুষজন জানতে পেরেছে। আবার কোন কোন সদস্য স্বত:প্রনোদিত হয়ে জেলা পরিষদ থেকে অনুদানের সংগ্রহ করে নিজ এলাকায় চেক হস্তান্তরের সময় নিজের থেকে অনুদান দিলেন এমন প্রচার ও করেছেন। কেউ কেউ আবার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অনুদান দেওয়ার মতো মহৎ কাজও করেছেন। কেউ কেউ তার সম্মানী বাবদ প্রাপ্ত টাকা জনকল্যান মুলক কাজে ব্যয় করেছেন। অনেকে প্রশংসনীয় কাজ করেছেন তাতে এলাকাবাসী যেমন উপকৃত হয়েছে , দলের ভাবমুর্তি উজ্জল হয়েছে। বিপরীত শ্রোতের কর্মীদের যেমন অবনমন দরকার তেমনি দলের উচিত ভালো কাজ করা কর্মীদের মুল্যায়ন করা।