admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ২ এপ্রিল, ২০২৪ ৩:২৫ অপরাহ্ণ
মিরু হাসান, স্টাফ রিপোর্টর: বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় ৯৮টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৮ টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। দির্ঘদিন ধরে এই বিদ্যালয় গুলিতে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য অবস্থায় আছে। ওই ৩৮ টি বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চালোনো হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। আর সহকারি শিক্ষকের পদ শুন্য আছে ৩৯ টি । ৯৮ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মধ্যে ৪৭জন দপ্তরি কর্মরত আছেন। বাকী দপ্তরির পদ শুন্য। ফলে প্রশাসনিক কার্যক্রম সহ শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা বিঘিœত হচ্ছে। দেখা দিচ্ছে নানা জটিলতা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, আদমদীঘি উপজেলায় মোট ৯৮টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৩৮ টি বিদ্যালয়েই প্রধান শিক্ষকের পদ দির্ঘদিন যাবৎ শূন্য রয়েছে। প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদ গুলি হলো, উপজেলার ছাতনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,ঢেকড়া সরকারি প্রাথমিক, মালসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রান্নাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উজ্জলতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয, দত্তবাড়িয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নশরৎপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হলুধঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিলচ শিববাাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছাতুয়া-সিংড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিববাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আমইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় , তারতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মিতইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চেচিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভেনলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিহিগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জিনইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,মুরইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নশরৎপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লক্ষিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,ডুমুরিগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,তিলচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রভৃতি।
এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় একজন সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব দিয়ে চালানো হচ্ছে দাপ্তরিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। এ ছাড়াও এই উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৯টি সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য আছে। এ ছাড়া আদমদীঘি উপজেলার অনেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরির পদও শূণ্য আছে। এ ছাড়া প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) পদে দায়িত্ব পালন করছেন কয়েকজন।
উপজেলার কয়েকজন অভিভাবক বলেন.ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা প্রায় দিনই উপজেলা সদরে যান দাপ্তরিক কাজ সারতে। এতে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনা বিঘিœত হচ্ছে। উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ জাহেদুর রহমান বলেন, উপজেলার প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদ পূরনের জন্য আমরা বিভিন্ন প্রচেষ্ঠা চালিয়েছি। অচিরেই এই সকল প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদ পূরনের জন্য আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবদুর রহিম প্রধান গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, যে সকল বিদ্যালয়ে প্রধান ও সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে সে সব বিদ্যালয়ের তালিকা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরণ, করা হয়েছে।
বগুড়া জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জাভেদ আখতার এ বিষয়ে জানান, অচিরেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকরা পদোন্নতি পেয়ে প্রধান শিক্ষক পদে যাবেন, তখন এই সমস্যাটি আশা করছি থাকবে না।