admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ৬:১৮ অপরাহ্ণ
স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি রিজেন্ট কাণ্ডে এবার ফেঁসে যাচ্ছেন। আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতাল কাণ্ডে বন্দী চেয়ারম্যান মো. সাহেদের সঙ্গে এবার আসামি হচ্ছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক, ডিজি, আবুল কালাম আজাদ। করোনার নমুনা সংগ্রহ করে ভুয়া রিপোর্ট প্রদান, চিকিৎসার জন্য চুক্তি করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ এবং হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হলেও নবায়ন না করার অপরাধে দায়ের হওয়া মামলায় বন্দী আছেন সাহেদ। দুর্নীতি দমন কমিশন, দুদক, সূত্রে জানা গেছে, আবুল কালাম আজাদ ছাড়াও আরও কয়েকজনকে আসামি করা হচ্ছে।
সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি আজ সোমবার এ মামলার অভিযোগপত্র অনুমোদন দিয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন – স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল-১) মো. ইউনুস আলী এবং গবেষণা কর্মকর্তা মো. দিদারুল ইসলাম ও সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) মো. শফিউর রহমান। দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী গত বছরের ২৩ সেপ্টম্বর করোনার নমুনা পরীক্ষা ও চিকিৎসা খরচ বাবদ মোট ৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৫ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।
প্রাথমিকভাবে আবুল কালাম আজাদের নাম মামলায় না থাকলেও তদন্ত শেষে অভিযোগপত্রে তাকেও আসামি করা হচ্ছে। আগে নাম না থাকলেও রিজেন্ট কাণ্ডে আবুল কালাম আজাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত শেষে দীর্ঘ এক বছর পর এ মামলার অভিযোগপত্র অনুমোদন চেয়ে দুদক কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেন। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ধরা পড়ে। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য আগাম প্রস্তুতি হিসেবে একই বছরের ২১ মার্চ রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে কয়েকজন সচিবের পাশাপাশি স্বাস্থ্যমন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন।
এর কিছু দিনের মধ্যেই ভুক্তভোগীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় করোনার নমুনা পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট প্রদান, সরকারের কাছে বিল দেয়ার পরও রোগীর কাছ থেকে অর্থ আদায় এবং অন্যান্য নানা দুর্নীতি ও অনিয়ম ধরা পড়ে। এ অবস্থায় গত বছরের ৭ ও ৮ জুলাই অভিযান চালিয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে ১৫ জুলাই ভোরে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।