admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ৬ জানুয়ারি, ২০২০ ৭:০৬ পূর্বাহ্ণ
২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধের পরপরই চরম অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছিল তেলের বাজার। ২০০৪ সালে আমেরিকা ইরাকে দ্বিতীয় দফায় যুদ্ধ শুরু করলো, বিশ্বের বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম রাতারাতি ১০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। যেসব ব্যবসায়ী আগে তেল কিনে রেখেছিলেন, বড় ধরনের মুনাফা তৈরির সুযোগ তৈরি হয়ে যায় তাদের। নিউইয়র্কের মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জ (এনওয়াইএমইএক্স) যেখানে জ্বালানি তেলের কেন-বেচা হয় সেখানে তখন ট্রেডার হিসাবে কাজ করতেন মিচ কান। মি. কান স্মৃতিচারণ করছিলেন – “সেদিন যখন অপরিশোধিত তেলের ট্রেডিং শুরু হলো সাথে সাথে দালালদের চিৎকারে কানে তালা লাগার জোগাড় হয়েছিল। দাম বেড়ে যাওয়ায় মুনাফার লোভে আগের দামে কেনা তেল বিক্রির চেষ্টা করছিলো সবাই। পরিণতিতে, দাম বাড়লেও কয়েক মিনিটের মধ্যে এক ব্যারেল তেলের দাম ২০ মার্কিন ডলারেরও বেশি পড়ে যায়।
বিক্রির চাপে বাজারটা যেন ধসে পড়লো।মানুষ বুঝতে পারছিল না তেলের বাজারে কী হচ্ছে। এখন যদি ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটা সামরিক লড়াই বেধে যায় তেলের বাজারে তার প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে? মি. কান মনে করেন, ১৬ বছর আগে যে অস্থিরতা দেখা গিয়েছিল এখন তেমন হয়তো হবেনা। তিনি বলেন, যদিও শুক্রবার অপরিশোধিত তেলের বাজারে দাম চার শতাংশের মত বেড়ে গিয়েছিল, কিন্তু দ্বিতীয় ইরাক যুদ্ধের সময়ের তুলনায় তেলের বাজার এখন অনেকটাই আলাদা। বাজারের চরিত্র বদলে গেছে, বলছেন তিনি। যেসব দেশে এখন তেল উৎপাদন করে, যেভাবে এখন তেল পরিশোধিত হয়, যেভাবে কেনা-বেচা হয়, তা এখন অনেকটাই ভিন্ন। ট্রেডিং এক্সচেঞ্জে দালালদের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত বা ধারনা দিয়ে এখন আর বিশ্বের তেলের বাজারের দাম নির্ধারিত হয়না।