মুক্ত কলম বক্স অফিস সিঙ্গাপুরঃ  সিঙ্গাপুর করোনা ভাইরাসের মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি বাংলাদেশের ছেলেরাও দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে প্রবাসি ওয়ার্কারদের সহযোগীতার জন্য সিঙ্গাপুর ডরমেটরি সরকারী কর্মকতাদের সাথে বাংলাদেশী সন্তানেরা ভলেন্টারি সেবা করছে। এই সব খবর কেউ জানে না তাই মুক্ত কলমের প্রচেষ্ঠা এই সব মেধাবী ও পরিশ্রমী ভাইদের জন-মানুষের সামনে তুলে ধরতে ।

প্রবাসী বন্ধুদের ধন্যবাদ জানাই, তারা সিঙ্গাপুর সরকারের সামনে বাংলাদেশের সন্মানকে অনেক উপরে তুলে ধরেছে । আজ সিঙ্গাপুর সরকার বাংলাদেশি কর্মীদের উপর অনেক খুশি তারা যদি কোনো কর্মী করোনভাইরাসে আক্রান্ত হয় তাহলে সিঙ্গাপুর সরকার তার সম্পুর্ণ ফ্রি’তে উন্নত চিকিৎসা প্রদান করছেন।

আমাদের এক প্রবাসী ভাই যার নাম আরিফুল ইসলাম রানা, তার বাড়ি বাংলাদেশের মানিকগঞ্জ জেলার সিংরাই থানায়, তিনি গত ৯ বছর ধরে সিঙ্গাপুর এ আছেন তিনি কন্সট্রাকশন সাইটে কাজ করেন। তার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি মুক্ত কলমকে জানান নর্থ কষ্ট লডিস উডল্যান্ড ডরমেটরিতে ৮ হাজার বেশি বিদেশী কর্মী বাস করেন। করোনাভাইরাসের মোকাবেলায় সিঙ্গাপুর সরকারের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি জানান সর্বোমোট ১০০ জন ভলেন্টিয়ার ৪ বেলা খাবার বিতরণ সহ ব্যক্তিগত সহযোগীতা করেন। সিঙ্গাপুর সরকার লক ডাউন ঘোষণা দেওয়ার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রলায় ডরমেটরিতে লক ডাউন এ থাকা বিদেশী কর্মীদের প্রতিদিন ৪ বেলা খাওয়ার পরিবেশন করে যাচ্ছেন সিঙ্গাপুর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় (এমওএম)।

তিনি জানান উক্ত ডরমেটরিতে ৮ টা ব্লক / ফ্লোর আছে যার ১ ফ্লোরে ১৪টি রুম থাকে প্রতি রুমে ১২জন করে কর্মী অবস্থান করছেন, যারা বাহিরে বের হওয়ার সুযোগ নেই এদের মধ্যে সিনিয়র একজন সুপারভাইজার আছেন তিনি তাদের প্রয়োজন গুলো ভলেন্টিয়ারদের জানান সেই মোতাবেক ভলেন্টিয়ার’রা তাদের সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করেন। তিনি জানান এম ও এম কর্তিক পর্যবেক্ষন দল নিযুক্ত আছে যারা প্রতিনিয়ত দেখাশুনা করে যাচ্ছেন। তারা তিনটি ধাপে কাজ করে যাচ্ছেন ১। খাদ্য ২। স্বাস্থ্য ৩। মেনেজমেন্ট কেউ যদি শারীরিক ভাবে অ-সুস্থতা অনুভোব করলে অস্থায়ি ভিত্তিতে মেডিকেল টিম আছে যারা প্রাইমারী চিকিৎসা সেবা প্রদান করে থাকেন।

তিনি জানান প্রতিনিয়ত মিনিস্ট্রি অব ম্যানপাওয়ার এমওএম’এর কর্মকর্তাগন মনিটরিং করে যাচ্ছেন যার মধ্যে রয়েছে খাদ্যের মান যাচাই করা, আবাসন কর্মীদের কাছ থেকে ফিড ব্যাক নেওয়া খ্যাদের মান কেমন বা কোনো সমস্যা আছে কি না, তিনি জানান ৪ বেলা খাদ্য মেনুতে আমিস ও প্রটিন যুক্ত খাওয়ার পরিবেশন করা হয়। স্বাস্থ্য সম্পর্কিয় কোন সমস্যা আছে কিনা ও পরিবেশগত সমস্যা প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছেন ও সমস্যা থাকলে তার সমধান করে দেন।

মি. আরিফুল ইসলাম জানান সিংগাপুর করোনা ভাইরাসের প্রকোপে লক ডাউনের পর থেকে নর্থ কষ্ট লডিস উডল্যান্ড ডরমেটরিতে ভলেন্টারী সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি আমাদের জানান ভলেন্টারী সেবা প্রদান করার জন্য সিঙ্গাপুর সরকার প্রতিদিন ২০ ডলার করে প্রদান করেন। কারণ তারা প্রতিদিন রাত ৩ টা থেকে শুরু করে পরের দিন সন্ধ্যা ৭ টা পযন্ত এক টানা কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারের দেওয়া খাবার ৪ বেলা পরিবেশন এর পাশাপাশি থেকে শুরু করে, যাবতীয় সমস্যা নিয়ে সেবা প্রদানকারী দলের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। মক্ত কলম পরিবারের পক্ষ থেকে মি. আরিফুল ইসলামকে জানাই অভিনন্দন।

তার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি যানান অত্র যদি ডরমিটরিতে যদি কারোও ব্যক্তিগত কোন কিছুর জরুরী প্রয়োজন মনে করেন তাহলে আমাকে নক করবেন আমি আমার সাধ্য মতো চেষ্টা করবো সেই সমস্যা সমাধানের। তিনি আর একটি বিষয় সকল ডর্মেটরি ভাইদের উদ্দেশ্যে বলেন শুধু মাত্র ভলেন্টিয়ার ব্যতিত অন্য কারও কাছে সহযোগীতা না চেয়ে নির্ধারিত সেবাদানকারিকে বলুন তানা হলে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আপনাদের যে কোন প্রয়োজনে তার সাথে যোগাযোগ করতে কল করতে পারেন। মি আরিফুল ইসলামের স্বদেশিদের প্রতি ভালবাসা দেখে অনেক ভাল লাগলো তিনি বার বার মুক্ত কলমকে বলছিলেন ডর্মেটরিতে অবস্থানরত ভাইদের যদি কোন কিছুর জরুরী প্রয়োজন হয় তাহলে যেন তার সাথে যোগাযোগ করা হয় তিনি নিজেকে উজাড় করে সেবা দান করবেন এমনটি বল ছিলেন।আরিফ তার দেওয়া ব্যক্তিগত ফোন নাম্বারেঃ ৮৭১৩১৫১৮ প্রয়োজনে যোগাযোগ করলে সহযোগিতা করবেন।