admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ৫ আগস্ট, ২০২০ ৭:০২ অপরাহ্ণ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করলে প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আজ বুধবার সচিবালের সভাকক্ষে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী সভায় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইউরোপে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে (ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব ইত্যাদি) সমাজে অস্থিরতা ছড়ালে বা চরিত্র হনন করলে বা মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করলে এসব সার্ভিস প্রোভাইডারদের জরিমানা করা হয়। বাংলাদেশেও বর্তমানে যে আইন বিদ্যমান রয়েছে, তাতে প্রোভাইডারদের জরিমান করা যায়। সমাজে অস্থিরতা ছড়ালে প্রয়োজনে সে আইন প্রয়োগ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করা হচ্ছে। যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে নতুন আইন করা হবে। সার্ভিস প্রোভাইডাররা যা ইচ্ছা তা করে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করে যাবে, আর তার জবাবদিহি করবে না তা হবে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সমাজে অস্থিরতা তৈরি করা, তরুণ সমাজকে বিপথে চালিত করা, একে অন্যের চরিত্র হনন করা- এর পেছনে যেসব সার্ভিস প্রোভাইডার সেবা দিচ্ছেন, তাদের দায় রয়েছে। প্রয়োজনে তাদেরও জরিমানা করা হবে।
টিকটক ও লাইকি অ্যাপের কারণে সমাজে যে সমালোচনার তৈরি হচ্ছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, এসব অ্যাপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব। আমাদের দেশে এসব অ্যাপ কীভাবে পরিচালিত হওয়া উচিত এ বিষয়ে তারা একটি প্রতিবেদন জমা দিবেন।
প্রতিবেদনে তারা এসব অ্যাপকে কীভাবে ট্যাক্সেশনের আওতায় আনা যায়, আমাদের দেশের সংস্কৃতি ও আইন-কানুন মেনে চলতে এসব অ্যাপের কী করণীয়- তা জানাবেন। সেই প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে এসব সোশ্যাল মিডিয়াকে নিয়ম-নীতির আওতায় আনা হবে।