admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ৫:১৫ অপরাহ্ণ
মাসুম আজাদ,ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে রানা মন্ডল (৩৫) নামে এক যুবকের গলাই ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার(১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দুইটার দিকে উপজেলার শড়াতলা গ্রামের নিজ ঘরের আড়া থেকে গলাই গামছা পেঁচানো অবস্থায় পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। রানা ওই গ্রামের মঈনুদ্দিন মন্ডলের ছেলে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রানার স্ত্রী শম্পা খাতুনকে আটক করেছে।
ওই যুবকের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, বনিবনা না হওয়ায় স্ত্রী শম্পা খাতুন বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে ঘরের আড়াই গলাই ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে। সদর মন্ডল নামে এক প্রতিবেশি জানান, রানা এলাকায় ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত। গ্রামে একটি চায়ের দোকান ছিল তার। এছাড়া সে কৃষিকাজও করতো। স্ত্রীর সাথে বেশকিছুদিন ধরে বনিবনা হচ্ছিল না। প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়াবিবাদ হতো। তার স্ত্রীই হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখেছে বলে তাদের ধারণা।
ওই যুবকের মা পারভিনা খাতুনের ভাষ্য, কয়েকদিন ধরে পুত্রবধূর সাথে ছেলের মনোমালিন্য চলছিল। সে বাড়িতে খাওয়া দাওয়াও করত না। রোববার দুপুরের আগেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। পরে ছেলে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে থাকার সময় তার স্ত্রী শম্পা খাতুন বালিশ চাপাো দিয়ে হত্যা করে মরদেহ ঘরের আড়াই ঝুঁলিয়ে রাখে।
একইরকম দাবি করেন রানার বাবা মাঈনুদ্দিন মন্ডল। তার দাবি, ছেলেকে পুত্রবধূই হত্যা করেছে।তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে ওই যুবকের স্ত্রী শম্পা খাতুন দাবি করেন, তিনি রান্নাঘরে রান্না করছিলেন। পরে খবর পেয়ে অন্যদের সাথে ঘরে গিয়ে মরদেহ আড়াই ঝুঁলে থাকতে দেখেন।
হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি এম এ রউফ খান বলেন, খবর পেয়ে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে হত্যার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে এবং পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। সেই অনুযায়ী আইনি ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।