admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ১ জানুয়ারি, ২০২২ ৭:৪৭ অপরাহ্ণ
যুক্তরাষ্ট্রের ওহিয়োতে দুষ্কৃতকারী ভেবে নিজের মেয়েকে গুলি! অতি সতর্ক বাবার অসাবধানতায় প্রাণ গেল কিশোরী মেয়ের। যুক্তরাষ্ট্রের ওহিয়োতে গত বুধবার মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে। বাবার গুলিতে মেয়ে আহত হলে তিনিই তাকে হাসপাতালে নেন। কিন্তু তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। পরে সেই বাবাই আবার পুলিশকে ঘটনাটি জানান। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার ভোরে বাড়ির গ্যারেজে কাজ করছিল ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোরী মেয়ে। শব্দ শুনে তার বাবা মনে করেছিলেন, বাড়িতে কোনো অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে চুরি বা অন্য কোনো অপকর্মের ইচ্ছায়। তাকে শায়েস্তা করার উদ্দেশ্যে পিছন থেকে গুলি চালান তিনি।
এতে সঙ্গে সঙ্গে লুটিয়ে পড়ে মেয়েটি। নিজের মেয়েই গুলিবিদ্ধ হয়েছে, বিষয়টি বুঝতে পেরে হতভম্ব হয়ে যান ওই ব্যক্তি। পরে স্ত্রীকে ডেকে সব খুলে বলেন। এরপর তারা নিজেদের গুলিবিদ্ধ মেয়েটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। খবরে বলা হয়েছে, হাসপাতালের চিকিৎসকরা মেয়েটিকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই মারা যায় মেয়েটি। এরপর পুলিশে ফোন করে মেয়েটির মা স্বামীর ‘ভুলবশত’ গুলি চালানোর কথা জানান। তিনি বলেন, আমাদের মেয়ে গ্যারেজে কাজ করছিল।
আমার স্বামী ভেবেছিলেন, বাইরের কেউ হয়তো বাড়িতে ঢুকেছে। তাই গুলি চালান। তারপর দেখেন, সেটা আমাদেরই মেয়ে ছিল। এদিকে নিজের হাতে মেয়েকে খুন করে প্রবল অনুতপ্ত বাবা। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় পরিবারে নেমে এসেছে অন্ধকার। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। তবে নিজে থেকেই দোষ স্বীকার করায় অভিযুক্ত বাবাকে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। একই রকম ঘটনা দুইদিন আগে ঘটেছিল যুক্তরাষ্ট্রেরই নর্থ ক্যারোলিনায়। ভুলবশত এক পুলিশ তার ১৫ বছর বয়সী ছেলের ওপর গুলি চালায়। এতে ছেলে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এটিকেও ‘ভুলবশত দুর্ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেছে পুলিশ।
পরপর এ ধরনের দুটি ঘটনায় সংশ্লিষ্টরা যুক্তরাষ্ট্রের বন্দুক আইনকেই দায়ী করছে। প্রায় সবার হাতে বন্দুকের লাইসেন্স পৌঁছানো এবং আত্মরক্ষার্থে যেকোনো সময় গুলি চালানোর অনুমতি থাকায় এমন দুর্ঘটনা ঘটছে দাবি করে তারা এই আইন সংশোধনের দাবি জানাচ্ছেন। তবে আগেও এ ধরনের দাবি অনেকবার করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাতে কোনো কাজ হয়নি।