admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ২১ মার্চ, ২০২০ ৭:৫২ পূর্বাহ্ণ
বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা দশ হাজার ছাড়িয়েছে, লড়াই চলছে বিভিন্ন দেশে জার্কাতায় জরুরি আইন জারির পর জীবাণুনাশক ছিটাচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। করোনাভাইরাস মহামারি প্রতিরোধে সারা বিশ্ব যখন লড়াই করছে তখন এই রোগে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার অতিক্রম করেছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন আড়াই লাখ ছুঁয়েছে। চীনে, যেখান থেকে করোনাভাইরাসের সূচনা, সেখানে দ্বিতীয় দিনের মতো নতুন করে কেউ আক্রান্ত হয়নি বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রশাসন সেখানকার বাসিন্দাদের বলেছে ঘরের মধ্যে থাকতে। নিউইয়র্কের গভর্নর অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছেন। এবং সকল ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করেছেন। এশিয়ার দেশগুলিতেও নানা ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। শ্রীলঙ্কায় সারা দেশে কারফিউ জারি করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসে খালি হয়ে গেছে ব্রিটেনের একটি ব্যস্ত নৌবন্দর। মালয়েশিয়া ঘোষণা করেছে যে করোনাভাইরাস রোধে সহায়তার জন্য আগামী রোববার থেকে তারা সেনাবাহিনী মোতায়েন করবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকোব বলছেন, এই পদক্ষেপ নেয়া দরকার হয়ে পড়েছে, কারণ সামাজিকভাবে যোগাযোগ কমানের লক্ষ্যে যেসব নিয়ম রয়েছে মানুষ সেগুলো উপেক্ষা করছে। তিনি বলেন, লোকজন এখনও তাদের পরিবার নিয়ে পার্ক, রেস্তোরাঁ ইত্যাদিতে যাচ্ছে। ধর্মীয় সমাবেশে সংক্রমণ মালয়েশিয়াতে প্রায় এক হাজার মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগের সংক্রমণ ঘটেছে গত সপ্তাহে কুয়ালালামপুরে একটি ধর্মীয় সমাবেশ থেকে। আফ্রিকা জুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ৮৫০ জনে। এক সপ্তাহ আগে আক্রান্তের মোট সংখ্যা থেকে এটি ছয়গুণ বেশি। দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. যোয়েলি মাখিযে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, দেশের ৬০ শতাংশ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে তিনি বলেন, এর অর্থ এই না যে বেশিরভাগ মানুষের অবস্থা খারাপ হবে। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ইউরোপের দেশগুলিতেও নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে।