ডাঃ নুরল হক || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ২২ আগস্ট, ২০২৫ ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ
দিনাজপুর – গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কটি প্রশস্ত হওয়ায় রোড ডিভাইডার না থাকায় ছোট-বড় যানবাহন নিয়ম নীতি না মেনে গতি বেগ বেড়ে বেপরোয়া চলাচল করায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে।
এছাড়াও যানবাহন চালকদের বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানো , সচেতনতা ও নিয়ম নীতি মানার অভাব, গতিবেগ নিয়ন্ত্রণের না রাখা, আঞ্চলিক মহাসড়কের দু’পাশে মেইল বাস, লোকাল বাস, নাইট কোচ টিকিট কাউন্টার, সড়ক পরিবহন আইন সম্পর্কে অজ্ঞতা, সাধারণ মানুষের মহাসড়কের চলাচলে অসাবধানতা, অটোরিকশা আঞ্চলিক মহাসড়কের দুপাশে এলোমেলো ভাবে অবস্থান করা, সাধারণ জনগণের চলাচলে ফুটপাত না থাকা ,যাত্রীরা কাউন্টারের সামনে গাড়িতে উঠা – নামার জন্য আঞ্চলিক মহাসড়কের দু’পাশে অবস্থান করায় রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা ঘটছে এমনটাই বলছেন স্থানীয়রা।
এদিকে ফুটপাতে চা-বিস্কুট ডালপুরি ভ্রাম্যমান দোকান থাকায় আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পথচারীকে চলাচল করতে হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে উপার্জনক্ষম সদস্যকে হারিয়ে দিশেহারা অনেক পরিবার । উঠতি বয়সে মায়ের বুক খালি করে ঝরে যাচ্ছে আদরের সন্তান। সংসারে নেমে আসছে শোকের ছায়া।
বিরামপুর থানা মামলা সূত্রে জানা যায়, বিরামপুরে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর হতে ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৮ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০২২ সালের মার্চ থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ২১টি সড়ক দুর্ঘটনা ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি হইতে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৫ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি হইতে আগস্ট/২৫ পর্যন্ত ১০ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০২১ সাল থেকে ২০২৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ৫ বছরে মোট ৭৪ টি সড়ক দুর্ঘটনায় মোট ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেসরকারি ভাবে আরো বেশি হবে বলে তথ্যসূত্রে জানা যায় , যা মামলা হয়নি।। পরিসংখ্যানে দেখা যায় সড়ক দুর্ঘটনা দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে।
সম্প্রতি বিরামপুরে নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্ধন ও নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে ১০ টি দাবি তুলে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ আধুনিকায়নে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার সময়ের দাবী নচেৎ এভাবে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকবে।