admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ২ আগস্ট, ২০২৩ ৩:৪২ অপরাহ্ণ
মোস্তাফিজুর রহমান,হরিপুর ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলা কৃষি প্রধান এলাকা হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে বৈরী আবহাওয়ায় কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছে। হাজার হাজার হেক্টর জমিতে সেলোমেশিন সেচ দিয়ে আমন চারা রোপণ করলেও মাটি ফেটে চৌচির ও আমন ধানের চারা গুলো শুকিয়ে যাচ্ছে।
আমন ফসলের জমি গুলোতে পাট চাষ করে। পাট কেটে জাগ দিয়ে পাটের আশঁ ছড়ানোর জন্য খাল বিলের পানিতে ১৫/১৬ দিন ধরে পানিতে পচানোর পর আশঁ ছড়ানো হয়। কিন্তু খাল-বিলে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় নাগর নদীতে অথবা নোনা নদীতে নিয়ে যায়। যে হারে পরিবহন ও শ্রমিক মজুরী খরচ বেড়েছে তাতে লাভের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি। পাট আবাদ করে ভোগান্তির কথা জানালেন পাটচাষি মহির উদ্দিন। তিনি বলেন বহতি, মশানগাঁ,তোররা,খোলড়া, মিনাপুর, মহেন্দ্রগাঁ,ভবান্দপুর,বশলগাঁ, কইঝালা, সোলাহার, এই এলাকা গুলোতে প্রচুর পরিমাণ পাট চাষ হয়।
খাল বিলে পানি না থাকায় পাট গুলো শুকিয়ে যাচ্ছে, ৭থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে নাগর নদীতে অথবা নোনা নদীতে পাটের জাগ দেওয়ার জন্য নিয়ে যেতে হয়। এভাবে বৈরী আবহাওয়া চলতে থাকলে পাটচাষিরা আর পাটের আবাদ করবেনা।
সরকারি ভাবে পাট চাষিদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিকল্প পদ্ধতির মাধ্যমে পাটের আঁশ ছড়ানোর ব্যবস্থা না করলে পাটচাষ ব্যহত হবে বলে আশংকা করা হচ্ছে।