admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ৩ জানুয়ারি, ২০২২ ৭:১০ পূর্বাহ্ণ
ফ্রান্সে অবশেষে সেই বিতর্কের অবসান ঘটলো। ডানপন্থী রাজনীতিবিদদের সমালোচনার মুখে প্যারিসের আর্ক ডি ট্রায়মফেতে প্রদর্শিত একটি বিশাল ইউরোপীয় ইউনিয়নের, ইইউ, পতাকা অপসারণ করা হয়েছে। উগ্র ডানপন্থী নেতা মেরিন লে পেন বলেছেন, স্মৃতিস্তম্ভে ইইউ পতাকা প্রতিস্থাপন করা দেশের পরিচয়ের ওপর আক্রমণের নামান্তর। একজন সরকারি মন্ত্রী বলেছেন, এই পদক্ষেপটি কেবল অস্থায়ী ছিল।ফ্রান্স আগামী ছয় মাসের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।
আগামী এপ্রিলে ফ্রান্সের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী লে পেন ইইউ পতাকা অপসারণকে সরকারের ওপর বিরোধী দলের বিজয় হিসেবে বর্ণনা করেছেন। প্রেসিডেন্ট পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী এরিক জেমুর, যিনি ইমানুয়েল ম্যাক্রোনের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তিনি ইইউ পতাকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদকে বিক্ষোভ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। রক্ষণশীল প্রার্থী ভ্যালেরি পেক্রেসিও ইইউ পতাকার অবস্থান নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। তিনি ম্যাক্রোনকে উদ্দেশ করে বলেন, ইউরোপের সভাপতিত্ব করুন, কিন্তু নিজের ফরাসি পরিচয় মুছে ফেলবেন না।
কিন্তু ইউরোপীয় বিষয়ক মন্ত্রী ক্লেমেন্ট বিউন সরকার ডানপন্থীদের চাপের কাছে মাথানত করার বিষয় অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, পতাকাটি পরিকল্পনা অনুযায়ী নামানো হয়েছে। ফ্রান্স ইন্টার রেডিওকে তিনি বলেন, রোববারই পতাকাটি নামানোর কথা ছিল। আমরা সঠিক সময় নির্ধারণ করিনি। ম্যাক্রোন পুনরায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি না- তা এখনও বলেননি। তিনটি নীতির উপর ভিত্তি করে ফ্রান্সের ইইউ প্রেসিডেন্সির অগ্রাধিকারের রূপরেখা দিয়েছেন তিনি। ইউরোপীয় সার্বভৌমত্বকে শক্তিশালী করা, প্রবৃদ্ধির একটি নতুন মডেল তৈরি করা এবং এক ইউরোপের ধারণাকে আরো কাছাকাছি আনা।
সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে উন্নত সীমান্ত সুরক্ষা এবং অভিবাসনের ব্যবস্থাপনা, উন্নত নিরাপত্তা, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং আইনের শাসন রক্ষা করা। ফ্রান্সের ইইউ প্রেসিডেন্সি উদযাপনের জন্য রাজধানী এবং অন্যান্য ফরাসি শহরগুলো নীল রঙে আলোকিত করা হবে।