admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:৫৬ অপরাহ্ণ
মুক্ত কলম নিউজ ডেক্স: নিষিদ্ধ ব্রাহমা জাতের ১৫টি গরু জবাই করে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে মাংস বিক্রি করার কথা থাকলেও সেগুলোকে সাদিক অ্যাগ্রোতে জ্যান্ত ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাণ্ডে জড়িত প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা এবং খামারটির মালিক ইমরান হোসেন ফেঁসে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একাধিক অভিযানে ওঠে এসেছে সাদিক অ্যাগ্রোর ব্রাহমা কুর্কীতি।
প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম আমাদের সময়কে বলেন, আমাদের দায়িত্ব ছিল গবাদিপশুগুলো সরবরাহ করা। এই গরুগুলো জবাই করার কথা ছিল, কিন্তু জবাই হয়নি। যার জিম্মায় ছিল (ইমরান হোসেন), তিনি সঠিকভাবে তার দায়িত্ব পালন করেননি।
গত রমজানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এক সিদ্ধান্তে একটি কমিটি কর্তৃক বাছাই করে বুকভ্যালু পদ্ধতিতে ১৫টি ব্রাহমা গরুসহ সরকারি খামারের ৪৪৮টি গবাদিপশু বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনকে জবাই করে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে ৬০০ টাকা দরে মাংস বিক্রির শর্তে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শর্ত অমান্য করে অন্য পশু জবাই করে ব্রাহমা গরুর মাংস বলে জানিয়ে দেন ইমরান হোসেন। বিষয়টি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দেখভাল করার কথা থাকলেও তারা দায়িত্ব অবহেলার করেন।
কোরবানির জন্য ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কেনার কাণ্ডের পর সাদিক অ্যাগ্রোর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে জায়গা দখল করে খামার গড়ে তোলার অভিযোগ ওঠে। এরপর এ অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। এরই মধ্যে নিষিদ্ধ ব্রাহমা জাতের গরু এ খামারে লালনপালনের ঘটনা বেরিয়ে আসে। কোরবানির ঈদে এ জাতের তিনটি গরু আড়াই কোটি টাকায় বিক্রি হওয়ার খবরও প্রকাশিত হয়। তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গণমাধ্যমে ইমরান গরুগুলোকে ‘বংশ মর্যাদাপূর্ণ’ গরু বলে পরিচয় দেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে সরকার ব্রাহমা জাতের গরু বাংলাদেশে আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। ২০১৩ সালে বিফ-ক্যাটল ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। এ প্রকল্পের গাইডলাইনে বলা হয়, কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হবে। ফলে এক্ষেত্রে বেসরকারি পর্যায়ে কার্যক্রম পরিচালনার আপাতত কোনো সুযোগ নেই।
দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য নির্ধারিত গাভী পালন এলাকায় মাংস বৃদ্ধির জন্য গাভী পালন থেকে বিরত থাকতে হবে। অধিদপ্তরের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুমোদন ছাড়া বিফ-ক্যাটল ডেভেলপমেন্টের অধীনে কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না।