admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ৮ অক্টোবর, ২০২১ ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ
পানি সংকটে পড়তে যাচ্ছে বিশ্বের ৫০০ কোটিরও বেশি মানুষ জাতিসংঘের ভয়াবহ তথ্য। ২০৫০ সাল নাগাদ চরম পানি সংকটে পড়তে যাচ্ছে বিশ্বের ৫০০ কোটিরও বেশি মানুষ। জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রবণতা পর্যালোচনা করে জাতিসংঘ ভিত্তিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অরগানাইজেশন (ডব্লিউএমও) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। দ্য স্টেট অব ক্লাইমেট সার্ভিসেস ২০২১: ওয়াটার’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে পৃথিবীর ভূগর্ভস্থ পানির স্তর উদ্বেগজনক হারে নিচে নেমে যাচ্ছে। গত ২০ বছর ধরে বিষয়টি বিশেষভাবে নজরে এসেছে।
দেখা গেছে, পানির এ স্তর বছরে ১ সেন্টিমিটার করে নিচের দিকে নামছে। ডব্লিউএমও তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ভূপৃষ্ঠ, ভূপৃষ্ঠের ঠিক নিচের স্তর এবং বরফ ও তুষারে জমা পানির স্তর গত দুই দশকে যে হারে কমেছে, তা আগে কখনো হয়নি। ২০১৮ সালেই ভূপৃষ্ঠের পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার বিষয়টি টের পেয়েছেন বিশ্বের অন্তত ৩৬০ কোটি মানুষ। তারা বছরের অন্তত একটি মাস তীব্র পানিকষ্টে ভুগেছেন।
ডব্লিউএমও এক সতর্কবার্তায় জানায়, এ ব্যাপারে বিশ্বের দেশগুলো যদি দ্রুত ও যথাযথ কোনো ব্যবস্থা না নেয় তাহলে ২০৫০ সালের পর ভারতীয় উপমহাদেশসহ বিশ্বের ৫০০ কোটিরও বেশি মানুষ চরম পানি সংকটে পড়বেন। পানির এ অভাব তীব্র হয়ে দেখা দেবে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম অংশ, ভূমধ্যসাগর, উত্তর ও দক্ষিণ আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া, পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ায়। দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়ার অবস্থাও ভিন্ন কিছু হবে না। ডব্লিউএমওর মহাপরিচালক পেত্তেরি তালাস জানিয়েছেন, স্বাভাবিকভাবে ভূগর্ভে মোট সঞ্চিত পানির মাত্র শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ ব্যবহার করতে পারে মানুষ। বাকিটা ব্যবহার করা সম্ভব নয়, কারণ সেই পানির অবস্থান নাগালের বাইরে, পৃথিবীর অনেক গভীরে।
প্রতিবেদনটিতে প্রাকৃতিক বিভিন্ন দুর্যোগের কথাও আলোচনা করা হয়। যেমন বলা হয়েছে, গত ২০ বছরে বিশ্বজুড়ে বন্যাঘটিত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনা তার আগের দুই দশকের চেয়ে বেড়েছে ১৩৪ শতাংশ। দ্রুতহারে উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে গত ২০ বছরে বায়ুমণ্ডলের আর্দ্রতা বেড়েছে ৭ শতাংশ। ফলে বেড়েছে বন্যা ও তার ভয়াবহতার পরিমাণ। আগামী ৩১ অক্টোবর স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে শুরু হতে যাচ্ছে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন সিওপি-২৬, শেষ হবে ১২ নভেম্বর। সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী পানি সংকটের বিষয়টি যেন আলোচনা করা হয়ে, প্রতিবেদনে সেই আহ্বানও জানিয়েছে ডব্লিউএমও।