জুলহাস উদ্দীন,স্টাফ রিপোর্টার। || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৬:২৯ অপরাহ্ণ
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় পর্যটক আকর্ষণে নির্মিত বাঁশের ছাউনি নামের এক মিনি রিসোর্টের উদ্বোধন হয়েছে। এ নিয়ে তেঁতুলিয়ার পর্যটন শিল্পে যুক্ত হলো পর্যটক বিনোদনের নতুন কেন্দ্র। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফিতা কেটে এর উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজ শাহিন খসরু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও বলেন, ‘তেঁতুলিয়ার পর্যটন শিল্প বিকাশে এটি খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। উদ্যোক্তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তেঁতুলিয়ায় কাঞ্চনজঙ্ঘা ঘিরে পর্যটন শিল্পে সমৃদ্ধ করেছে। তেঁতুলিয়াতে কাঞ্চনজঙ্ঘা আগে যেমন দেখা গেছে, এখনো দেখা যাচ্ছে। কিন্তু সেভাবে তখন প্রচার ছিল না। এখন গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে এটি সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এর কারণে এখানে পর্যটকের সমাগম ঘটছে।
তিনি আরও বলেন, তেঁতুলিয়া পর্যটন নগরী ঘোষণা না হলেও ঘোষণার করার প্রসেসে রয়েছে। কাঞ্চনজঙ্ঘার মতো এসব উদ্যোগগুলোকে প্রচার করা প্রয়োজন। যাতে পর্যটকরা এসে শুধু কাঞ্চনজঙ্ঘা নয়, তারা এখানে এসে এ ধরণের রিসোর্টে এসে বিনোদনে বিমুগ্ধ হতে পারে। এ জন্য উদ্যোক্তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, পাশাপাশি এ ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেন যে কেউ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব আলী, যুবদলের আহবায়ক খন্দকার আবু নোমান এনাম, জাতীয় পরিবেশ পদকপ্রাপ্ত পরিবেশ ও শিক্ষাকর্মী মাহমুদুল ইসলাম মামুন, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আলমগীর হোসেন ও ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন পঞ্চগড় এর সাংগঠনিক সম্পাদক এসকে দোয়েল, রিসোর্টটির মালিক খন্দকার আবু সালেহ ইমরান, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ব্যক্তিবর্গ।
উপজেলার প্রাণকেন্দ্রের তেঁতুলিয়া সরকারি কলেজ সংলগ্ন প্রকৃতির নিরিবিলি মনোরম পরিবেশে বাঁশের তৈরি এ মিনি রিসোর্টটি নির্মাণ করেছেন খন্দকার আবু সালেহ ইমরান। তিনি তেঁতুলিয়া উপজেলা সাবেক ্ছাত্রদলের সভাপতি ও ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন পঞ্চগড়ের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে এই ক্যাফে রিসোর্টটি। বাঁশের তৈরির গোল ছাউনিসহ নান্দনিক ডিজাইনে সমাহারে সমৃদ্ধ এ রিসোর্টটি। যা যেকোন পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে বলে মনে করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
রিসোর্টটিতে ঘুরে দেখা যায়, রিসোর্টটিতে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিনোদন ও বনভোজনের ব্যবস্থা রয়েছে। পর্যটন এলাকা হিসেবে এ ধরণের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে তেঁতুলিয়া ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম, ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পর্যটন ব্যক্তিবর্গ।
রিসোর্টটির উদ্যোক্তা খন্দকার আবু সালেহ ইমরান জানান, আগামীকাল সোমবার আমার উদ্যোগে নির্মিত মিনি রিসোর্ট উদ্বোধন করা হবে। এখানে মূলত ক্যাফে থাকবে। ক্যান্টিনের ব্যবস্থা থাকবে। ফার্স্টফুড ও ঘরোয়া রান্নার ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া পার্সেল ব্যবস্থা থাকবে। যদি কেউ বড় ধরণের অর্ডার করেন তা প্রত্যাশা অনুযায়ী ডেলিভারি করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আগামীতে বড় ধরণের পরিকল্পনা রয়েছে। আশা করছি পর্যটকরা এখানে এসে আনন্দ পাবেন, বিনোদনে বিমোহিত হবেন। পর্যটনে যারা আমাকে উদ্বুদ্ধ ও পরামর্শ প্রদান করেছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি চাই অন্যরাও পর্যটক আকর্ষণে কিছু করুন।