admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ১৫ মে, ২০২৪ ১২:৪২ অপরাহ্ণ
জুলহাস উদ্দীন,স্টাফ রিপোর্টার: দিনাজপুর বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষায় ফল প্রকাশের পর তেঁতুলিয়া উপজেলার ২৫টি উচ্চ বিদ্যালয়ের মধ্যে দুটিতে পাশের হার কম বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।
রবিবার ১২মে প্রকাশিত ফলাফলে এমন তথ্য জানা গেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুটি হলো তেঁতুলিয়া উপজেলার বুড়াবুড়ি মির্জা গোলাম হাফিজ উচ্চ বিদ্যালয় ও ফকির পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়। মঙ্গলবার (১৫ মে) অভিভাবকরা সাথে কথা বলে জানাযায় শিক্ষার্থীরা ফেলের পিছনে দায়ী শিক্ষকরা।
অভিভাবক বাবুল হোসেন জানান,আমার দু’টি সন্তান বুড়াবুড়ি মির্জা গোলাম হাফিজ উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে এবাওে একজন এসএসসি দিয়েছে ছোটটা সিক্সে পড়ে। আমরা কি আমাদের সন্তানকে মাঠ পরিস্কার আর রাজনিতী করতে স্কুরে দিয়েছি আমি ভ্যান চালিয়ে টাকা জমা করে ফরম ফিলাপ করে দিয়েছি মাস্টারা ক্লাস করেনা সময় মত স্কুলে আছেনা তারা আসে আর হাজিরা করে বাজারে চা খাইতে যায়।কোন ক্লাস করেনা আপনারা আরো খচখবর নিয়ে দেখেন।
এর মধ্যে বুড়াবুড়ি মির্জা গোলাম হাফিজ উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থী ২৯জন এর মধ্যে পাশ করেছে মাত্র ০৬জন ২৩জনে ফেল এর মধ্যে ৪ জন আগের ব্যাচের ২জন নতুন,ফকির পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষার্থী ৬৮জন এর মধ্যে পাশ করেছে মাত্র ২৮জন ৪০জনে ফেল এর মধ্যে ৮ জন আগের ব্যাচের ২০জন নতুন ।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২৫টি পরীক্ষার্থী ১ হাজার সাতশত ৩১জনের মধ্যে পাশ করেছে ১হাজার দু’শত ৬৫ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৩ জন এতে শতকরা ৭৩.০৭%। মাদ্রাসা ১১টি প্রতিষ্ঠানে মোট পরীক্ষার্থী ৩শত ৪৮জনের মধ্যে পাশ করেছে দু’শত ০৪জন,জিপিএ-৫ নাই শতকরা ৫৯%। কারিগরি ৪টি প্রতিষ্ঠানে মোট পরীক্ষার্থী ৯৬জনের মধ্যে পাশ করেছে ৮৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে ১জন শতকরা ৯০%।
বুড়াবুড়ি মির্জা গোলাম হাফিজ উচ্চ বিদ্যালয়ের দায়িত্বরত প্রধান শিক্ষীকা জাহান্নারা বেগম জানান,ছাত্র পাথর শ্রমিক ও চা শ্রমিক ক্লাস না করে তারা কাজ করে বেড়াই ক্লাসে উপস্তিতি থাকেনা আমরা এ বিষয়ে অভিভাবকদের ডেকে স্কুলে পাঠানোর জন্য বলেছি তারা তা করে না।
ফকিরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আজিজুল হক বলেন,এখানকার বেশিভাগে মানুষ কৃষিকাজে নিয়োজিত স্কুলের দিকে কম মনোযোগী তারা যখন উপরের ক্লাসে চলে যায় তখন তারা কৃষিকাজে লিপ্ত হয়ে যায়।ছাত্রীরা আসলেও ছাত্ররা কম উপস্তিতি থাকে এর পিছনে মোবাইল আসক্ত বেশি।এবারে টেস্ট পরীক্ষায় অনেকে ফেল করেছে পরীক্ষাদিতে না করেছি কিন্তু অভিভাবকরা তা না মেনে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে বিধায় আজ রেজাল্টের এ অবস্থা আর বেশি ভাগে ভ’গোল সাবজেক্টে ফেল করেছে।কিন্তু এর আগে এমনটি হয়নি সামনে ভালো রেজাল্ট করতে পারবো বলে আমার ধারনা।
এবিষয়ে তেঁতুলিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শওকত আলী জানান, তাদের বিরুদ্ধে আমরা অফিসিয়ালি চিঠি পাঠানো হবে এমন রেজাল্ড হলো কেন এবং এব্যাপারে তাদের কাছে জবাব নেওয়া হবে।