admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ১৭ জুন, ২০২০ ৫:৪৭ অপরাহ্ণ
নাগরিক ভাবনাঃ এম রমজান আলী, চট্রোগ্রাম মহেশখালীঃ দেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালীতে চলছে পাহাড় কাটার ধুম। মহেশখালীর বিভিন্ন প্রান্তে চলছে নিরবে পাহাড় কাটা। করোনা সংকটে পরিবেশ অধিদপ্তর, স্থানিয় বন বিভাগ ও প্রশাসনের কর্মব্যস্ততার সুযোগে উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের মোহরা কাটার পূর্বপাশে অবৈধভাবে পাহাড় কাটার মহোৎসব চলছে। মোহরাকাটা ধলঘাট পাড়া পাহাড়তলী মৌজায় পাহাড় কেটে বিক্রি করা হচ্ছে মাটি ও তৈরি করা হচ্ছে নতুন নতুন ঘর। মোহরাকাটায় গত দুই মাস ধরে দেদারসে কাটা হচ্ছে পাহাড়। দেখা যায়, ধলঘাটপাড়ার পূর্ব পাশে যত্রতত্র কাটা হচ্ছে পাহাড় ও ঢিলা। গড়ে ওঠেছে কাঁচা অসংখ্য ঘর। পাহাড় কেটে নির্মাণ করা হয়েছে রাস্তা ও অন্যান্য স্থাপনা।
স্থানীয়রা জানায়, করোনা সংকটে দুই মাস ধরে স্থানিয় জেল ফেরৎ ভূমিদস্যু প্রভাবশালী খুনের আসামি ফিরোজের নেতৃত্বে দেদারসে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি ও ঘর বাড়ি নির্মাণ করে সরকারি খাসজমি দখল করার অভিযোগ রয়েছে। তিনি একাধিক পাহাড় কেটে সাবাড় করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তার ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। এছাড়াও মোহরা কাটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্বপাশে আবুল কালাম নামে আরেক ভূমিদস্যুর নেতৃত্বে পাহাড় কেটে ডাম্পার গাড়ী যোগে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায় প্রশাসনের কর্ম ব্যস্ততার সুযোগে শ্রমিক দিয়ে নির্বিঘ্নে চলছে পাহাড় কাটার উৎসব। পাহাড় কাটা সহ প্রহ দেটায় বনবিভাগের অনেকেই জড়িত কার অভিযোগ উঠলেও সঠিক তথ্য কেউ দিতে পারেনি । পাহাড় কাটা ও ঘর নির্মাণে ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে পাহাড় খেকোরা অতি উৎসাহিত হয়ে যত্রতত্র পাহাড় কাটায় অনেকটা নিরাপদ মনে করছে।
দেখা যায়, অত্র ইউনিয়নের ধলঘাট পাড়ার পাহাড়তলী মৌজায় গড়ে ওঠেছে শতাধিক ঘরবাড়ি। পাহাড়ের খাঁদে খাঁদে এসব বাড়ি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। পাহাড় পাদ দেশেও রয়েছে বহু ঘরবাড়ি। বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। যেকোন মুহুর্তে পাহাড় ধসে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে ও বলে মনে করেন সচেতন মহল।
এভাবে পরিবেশ বিনষ্ট হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে বড় কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশবাদীরা। মহেশখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা সুলতানুল আলম চৌধুরী বলেন, পাহাড় কাটার বিষয়টি আমরা হার্ড লাইনে আছি। আমরা বিভিন্ন পাহাড় খেকোদের বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযান পরিচালনা করে আসতেছি। পাহাড় কর্তন বন্ধ করতে প্রশাসনকে সাথে নিয়ে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে মহেশখালী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুইচিং মং মারমা এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ঐ স্থানে একাধিক বার অভিযান চালানো হয়েছে কয়েকজন শ্রমিক ও গাড়ী জব্দ করা হয়েছিল বিভিন্ন জেল ও জরিমানা করা হয়েছিল কিন্তু ঐ পাহাড় খেকো ফিরোজসহ ভূমি দূস্যদেরকে ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান।