admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ৫ মার্চ, ২০২৩ ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ
অ্যাডঃ আবু মহী উদ্দীন,নাগরিক ভাবনাঃ পতাকা উত্তোলন দিবস হয়ে গেলো। ১৯৭১ সালের উত্তাল দিনগুলোতে ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি আসম আব্দুর রব পতাকা তোলার সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি তখন ছাত্রলীগ নেতা। স্বাধীনতার পর তিনি কক্ষচ্যুত হয়েছেন। সদ্য স্বাধীন দেশে অরাজকতা, নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য দায়ী বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের বিদঘুটে মতবাদ হাজির করে বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিপথগামী করার কৃতিত্ব তার কম নয়।
তার মানে তিনি মুজিব আদর্শকে ধারণ করতে পারেননি। বর্তমানে তিনি বহুধা বিভক্ত জাসদের একটি ক্ষুদ্রাংশের সভাপতি। তার সংগঠন অনেকদিন আগেই ব্যাকেটবন্দী হয়েছে। আরো ব্র্যাকেট হবেনা সে কথা জোর দিয়ে বলা যায়না। তিনি যেহেতু জাসদ করেন সেজন্য বর্তমানের এই অংশের কর্মীরা পতাকা উত্তোলনের কৃতিত্বটা তাদের সংগঠনকে দিতে চায়। সমস্যাটা এখানেই। তিনি যখন পতাকা উত্তোলন করেন তখন তিনি ছাত্রলীগ নেতা, জাসদ নামে কোন সংগঠন জন্মই গ্রহণ করেনি। জাসদের সাথে বনিবনা না হলে অথবা তিনি আর কোন সংগঠন করলে সেই সংগঠনতো আবার পতাকা উত্তোলনের দাবীদার হতেও পারে। সে কারনেই বাংলাদেশের রাজনীতির লক্ষ্য নির্ধারিত হয়নি।
রাজনৈতিক দলগুলো বিপরীতমুখী আদর্শে বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছে বলে সকল কৃতিত্ব তাদের দলীয় মনে করে। যদিও এ নিয়ে সন্দেহের কোন অবকাশ নাই সংশয়ও নাই। ৭১ সালে গ্রেপ্তার হওযার আগ মুহুর্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন। আবার ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। সে সময় বঙ্গবন্ধুর নামে ছাড়া আর কোন বিষয় জাতির সামনে উপস্থিত করলে তা গ্রহনযোগ্যতা পেতোনা। আমাদের জাতির দূর্ভাগ্য বিএনপি এটা স্বীকার করেইনা যে বঙ্গবন্ধু স্বাীনতার ঘোষনা দিয়েছেন। আবার আওয়ামী লীগও অস্বীকার করে সে সময়ে সৈনিক জিয়ার ভুমিকা। পরে ঘটনাক্রমে জিয়াউর রহমান রাজণীতিতে আসেন এবং জাগদল, পরে বিএনপি গঠন করেন। এখনকার বিএনপি এই সময়ের কৃতিত্ব বিএনপির ঘরে তুলতে চায়।
কিন্তু সমস্যা হলো আমরা সে সময় বেঁচে ছিলাম,এবং এসব বোঝার মতো কিছু বুদ্ধিও ছিল। আগামী ৭ মার্চ জাতির সামনে। ৭ মার্চ বাঙ্গালী জাতির জীবনে একটি টার্নিং পয়েন্ট। ঐদিনই জাতির স্বাধীনতার সব কথাই বলা হয়েছিল। অথচ বিএনপি মনেই করেনা ৭ মার্চ ৭১ এ সোহরাওয়ার্দী ময়দানে কোন জনসভা হয়েছিল। সেখানে শেখ মুজিব নামে কোন রাজনৈতিক নেতা কোন বক্তব্য দিয়েছিলেন। এটাই আমাদের জাতীয় সমস্যা। যারা রাজনীতি করতে চান তাদেরকে ভাষা আন্দোলন, স্বাধীকার আন্দোলন, ৬ দফা,২১ দফা, ২৫ মার্চ,২৬ মার্চ, ১৪ ডিসেম্বর, ১৬ ডিসেম্বর এই সব মৌলিক বিষয়গুলি মেনে এই বিষয়ে সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়ে, অন্তরে ধারণ করে এদেশে রাজনীতি করতে হবে। অন্যথায় এদেশে রাজনীতি করার অধিকারতো কারো থাকার কথা নয়।