admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল, ২০২২ ৬:২৬ অপরাহ্ণ
নাগরিক ভাবনাঃ অ্যাডভোকেট আবু মহী উদ্দীনঃ রেলে যারা ভ্রমন করেন,তারা জানালা দিয়ে বাইরের দৃশ্য উপভোগ করতে চান। দিনের বেলা হলে তা করা যায়। আবার যাত্রীদের আত্মীয় স্বজন ফোনে জানতে চায় এখন কোথায়? রাতে হলে এই প্রশ্নের জবাব সহজ হয়না। আবার আমাদের সন্তানেরা ট্রেন জার্নিতে স্টেশনের নাম লিখে রাখে কখন কোন স্টেশন পার হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে কিছু দেখা যায়না। আবার মধ্যবর্তী কোন স্টেশনে নামতে গেলে সব সময় তটস্থ থাকতে হয়। বিভিন্ন জনকে জিজ্ঞাসা করতে হয়। যাত্রী মহিলা হলে বিড়ম্বনার সীমা থাকেনা।
বাক্স প্যাটরা নিয়ে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই দরজামুখী হতে হয়। রেলে মেধাবী কর্মকর্তা একেবারেই নাই তাতো নয়। কর্মকর্তাদের না বলে মন্ত্রী মহোদয়কে বলাই ভালো। কেননা এই রেল মন্ত্রীর আমলে রেল ট্রেনে উঠতে মানুষ আগ্রহী হয়েছে। রেলওয়েতে চমৎকার অডিও সিস্টেম আছে। সে অডিওতে সব সময় না হলেও ২/১ বার স্টেশনের নাম বলা হয়। এটাতো বলাবলির কিছু নাই। রেকর্ডেড অডিও বাজালেই হলো। চমৎকারএই অডিওটা যাত্রী সেবায় এবং রেলওয়ের তথ্য সরবরাহে
গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখতে পারে যেমনঃ
ক) যাত্রা থেকে গন্তব্য পর্যন্ত সকল স্টেশনের নাম বলা যাবে। যেখানে থামবে সেখানকার কথাতো বলা হবেই ,এমনকি যেসব স্টেশনে ট্রেন থামবেনা সে সব স্টেশনের নাম বলা যেতে পারে আমরা এখন অমুক স্টেশন অতিক্রম করছি। এখানে এই ট্রেনের স্টপেজ নাই। আমাদের পরবর্তী স্টেশন অমুক।
খ) অডিওতে রেলওয়ের চলমান প্রকল্পগুলো সম্পর্কে ধারনা দেওয়া যেতে পারে। এই সব প্রকল্প কবে নাগাদ শেষ হবে,প্রকল্প গুলি বাস্তবায়িত হলে আমরা কি কি সুবিধা পাব তা বলা যেতে পারে।
গ) রেলওয়ের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা যেতে পারে।এতে করে দেশের অধিক সংখক মানুষ অবহিত হবে এবং যোগ্যতর প্রার্থী পাওয়ার সুবিধা হবে।
ঘ) রেলের উন্নয়ন সংক্রান্ত টকশো প্রচার করা যেতে পারে। রেলের যাবতীয় তথ্য প্রচার করা যেতে পারে।
ঙ) কোন স্টেশনে দীর্ঘক্ষণ ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকলে কি কারণে ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে বা ক্রসিং হলে বলা যেতে পারে।
চ) যাত্রী সেবার মান উন্নয়নে যাত্রী , কর্মচারীদের করনীয় যাত্রীদের সহযোগিতার বিষয় বলা যেতে পারে। এমনকি রেলওয়ের সমস্যাগুলো সম্পর্কেও ধারণা দেওয়া যেতে পারে।
ছ) কোন যাত্রী টিকিট করতে না পারলে কি পদ্ধতিতে রেলের ভিতরে টিকিট করতে পারবেন সে বিষয়েও বলা যেতে পারে। বিনা টিকিটে যাত্রী ধরার চেয়ে সবাই যাতে টিকিট করে ট্রেন ভ্রমন করতে সেজন্য মোটিভেশনাল কার্যক্রম গ্রহণ করা দরকার।
প্রসঙ্গঃ বিলবোর্ড , প্রতিটি বগীতে ভিতরে এবং বাইরে রঙ্গিন লাইট দিয়ে বিলবোর্ড বানানো হয়েছে। তাতে লেখা আছে বাংলাদেশ রেলওয়ে’। এই কাজটা যে কারণেই করা হোক একেবারেই অর্থবহ নয়। এটা যাত্রীদের বা রেলের কি কাজে লাগে তা কেউ জানেনা। এটাকে আমরা খুব ভালো কাজে লাগাতে পারি। এখানে স্টেশনের নাম উঠবে। এক স্টেশন পার হলে পরের স্টেশন কি তার নাম উঠবে। এতে যাত্রীদের উপকার হবে। এই বিলবোর্ডে বিভিন্ন বিষয় প্রচারনা করা যেতে পারে। এভাবে দেশের মানুষকে রেলের সাথে সম্পৃক্ত করতে পারলে মানুষ রেলওয়েকে নিজেদের সম্পদ বলে ভাবতে শুরু করবে। রেল ব্যবস্থাপনার সাথে নিজেদেরকে সস্পৃক্ত করতে পারবে। এতে লাভ ছাড়া লোকসান হবেনা।
আমরাতো কোনদিন ভাবিনি, পঞ্চগড় থেকে ৪টি আন্তনগর ট্রেন চলবে। অনলাইনে দেশের যে কোন জায়গা থেকে ট্রেনের টিকিটি কাটা যাবে। রেলের তথ্য মোবাইলে দেখা যাবে। ট্র্যাক করে জানা যাবে ট্রেন কোথায় আছে , এই ব্যবস্থা যত উন্নত হবে রেল ব্যবস্থা তত উন্নত হবে। ট্রেনের টিকিটের জন্য হাহাকার মানে ট্রেনের গ্রহণ যোগ্যতা, আমাদের চাওয়া পাওয়াতো সেটাই। কেবল যদি ডাবল লইন করা যায় তাহলে আমাদের রেল ব্যবস্থা নিয়ে গর্ব করার মতো বিষয় থাকবে। শেষে আশংকা হয় হঠাৎ করে কোন উর্ধতন কর্মকর্তা যদি মনে করেন ইহা আমারো ছিল মনে’ তবুও বিয়গুলি বিবেচনায় এনে কাজ হোক। এতে কোন প্রকল্প করতে হবেনা , সম্ভাব্যতা যাচাই করতে হবেনা , কোন বাজেটও লাগবেনা। মাঝখানে দারুন একটা কাজ হবে।