তহমিনা বেগম বিউটি, দিনাজপুর প্রতিনিধি || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৫:৫৩ অপরাহ্ণ
৭ ডিসেম্বর ২০২৫ রোববার দুপুরে অরবিন্দ শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং কার্যনির্বাহী পরিষদের কর্মকর্তারা সদর উপজলা প্রশাসন এবং সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফেলে যাওয়া নবজাতক শিশুটিকে চিকিৎসা সেবা প্রদানের মাধ্যমে সুস্থ্য করে উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিঃসন্তান এক দম্পতির নিকট অনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নবজাতক শিশুটির হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পক্ষ হতে প্রতিনিধি সহকারী কমিশনার (ভূমি) বোরহান উদ্দিন, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ও উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ড এর সদস্য সচিব গোলাম আজম, দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ নুরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও অরবিন্দ শিশু হাসপাতালের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি আব্দুস সামাদ, সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, সাধারন সম্পাদক শামীম কবির, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শহিদুর ইসলাম খান (শাহীন খান), শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদক আলহাজ্ব হারুন-অর-রশিদ, নির্বাহী সদস্য আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ তোতা ও কাশী কুমার দাস ঝন্টু উপস্থিত ছিলেন।
আলোচিত নবজাতক শিশু হস্তান্তর অনুষ্ঠনে গণমাধ্যম কর্মীদের মাঝে সার্বিক বিষয়ে অধ্যাপক ডাঃ মোঃ নুরুল ইসলাম উপস্থাপন এর মাধ্যমে বলেন, গত ৬ নভেম্বর ২০২৫ একজন মহিলা বাজারের ব্যাগে নবজাতক শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন এবং নবজাতক শিশুটির মাকে ডেকে আনার কথা বলে মহিলাটি পালিয়ে যায়। পরে আমরা নবজাতক শিশুর সঙ্গে একটি চিরকুট পাই। তাতে লেখা রয়েছে শিশুটি মুসলিম। বিশেষ কারণে ফেলে গেলাম কাউকে লালন-পালন করতে দিবেন মানুষ করার জন্য।
শিশু কল্যাণ বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অরবিন্দ শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সু চিকিৎসার জন্য অনুরোধ করে পত্র দেওয়া হয়। পরবর্তীতে প্রায় ১মাস অরবিন্দ শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নবজাতক শিশুটিকে সুচিকিৎসার মাধ্যমে এবং সৃষ্টিকর্তার দোয়ায় সুস্থ্য করে তুলতে সক্ষম হয়। এরই প্রেক্ষিতে ১১ নভেম্বর উপজলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভায় শিশুটিকে লালন পালন করার জন্য পরিচর্যাকারীর প্রয়োজন ঘোষনা দিলে, ১৫টি পরিবারের আবেদন জমা হয়।
আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে নওগাঁ উপজেলার এনায়েতপুর (শান্তাহার) এলাকার এক নিঃসন্তান দম্পতিকে হস্তান্তর করা হয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) বোরহান উদ্দিন বলেন, এই নবজাতক শিশুটিকে লালন-পালন করার জন্য এবং চিকিৎসা প্রদানে অরবিন্দ শিশু হাসপাতাল যে অবদান রেখেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।