admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০৩ পূর্বাহ্ণ
হুমায়ুন কবির রেজা স্টাফ রিপোর্টারঃ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত শবদল হাট কল্যাণ ট্রাস্টের তিনটি পুকুর ইজারা ও গাছ কর্তন করে বিক্রয় নিয়ে অনিয়ম এবং স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। যানা যায় যে তৎকালীন জাতীয় পার্টির সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক (ইদু চৌধুরী) ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও আসনের নির্বাচিত এমপি ছিলেন এবং তৎকালীন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী ছিলেন।
যার সুবাদে স্থানীয় শবদল একটি অনুন্নত পল্লী অঞ্চল এবং এই অঞ্চলের লোকজন আর্থিক সামাজিক এবং ধর্মীয় সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত ছিলেন তারই ধারাবাহিকতায় গ্রামের বিকাশ ঘটলে তারা সমাজের অনেক উপকারে আসবে এই কারণে ওই সকল প্রতিষ্ঠানগুলি স্থানীয় উন্নতি উৎকর্ষ ও কল্যাণ সাধারনের লক্ষ্যেও মানবতার সেবার মহৎ উদ্দেশ্যে জনাব রেজওয়ানুল হক (ঈদু) চৌধুরী শবদল হাট কল্যাণ ট্রাস্ট নামে একটি ট্রাস্ট গঠন করেন এবং শবদল হাট কল্যাণ ট্রাস্ট এর আওতাধীন উমেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয় ফজিলাতুন্নেছা এতিমখানা ও ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জামে মসজিদ সহ ক্লাব গঠন করা হয়।
উক্ত শবদল হাট কল্যাণ ট্রাস্টের সভাপতি ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মহোদয় কে করা হয় এবং সাত বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী পরিষদ করা হয়। তার মধ্যে হতে একজনকে সদস্য সচিব করা হয় বর্তমানে সদস্য সচিব হিসেবে জনাব সুলতানুল ফেরদৌস নম্র চৌধুরী দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে শবদল হাট কল্যাণ ট্রাস্টের তিনটি পুকুর ইযারায় বিভিন্ন স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়েছে।
শবদল হাট কল্যাণ ট্রাস্টের স্থায়ী দাতা সদস্য মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান মোঃ সুলতানুল ফেরদৌস নম্র চৌধুরী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় কল্যাণ ট্রাস্টর তিনটি পুকুর লাজু মিয়াকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মেয়াদের লিজ প্রদান করেন ২০১৪ সালের শবদল হাট কল্যাণ ট্রাস্টের মালিকানাধীন পুকুরগুলি ত্রিবার্ষিক লিজ বাবদ ৫ লক্ষ টাকা ২০১৭ সালের কল্যাণ ট্রাস্টের পুকুরগুলি লিজ বাবদ ৬ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা ও ২০২০ সালে কল্যাণ ট্রাস্টের পুকুরগুলি লিজ বাবদ ৭ লক্ষ টাকা সর্বমোট ১৮ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা তার নিকট হইতে বর্তমান সম্পাদক জনাব সুলতানুল ফেরদৌস নম্র চৌধুরী নিজ হাতে গ্রহণ করেন। তিনি বলেন সবদল হাট কল্যাণ ট্রাস্টের একাউন্টে ৪ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা মাত্র জমা করিয়েছেন।
বাকি ১৪ লক্ষ ৪৫০০০ টাকা জনাব সুলতানুল ফেরদৌস নম্র চৌধুরী আত্মসাৎ করিয়াছেন। ইহা ছাড়াও সবদল হাট কল্যাণ ট্রাস্টের পুকুরপাড়ের গাছ বাবদ ৬ লক্ষ টাকাও আত্মসাৎ করিয়াছেন। এবং আমি ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ আদালতে এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছি।এ বিষয়ে এলাকানাসীর সাথে কথা হলে এলাকাবাসীর পক্ষ হতে মোহাম্মদ দুলাল হোসেন বলেন আমার পিতা কল্যাণ ট্রাস্টে এক একর ৪২ শতক জমি প্রদান করেন কল্যাণ ট্রাস্টের উন্নয়নের জন্য তিনি এই জমি দান করেন কিন্তু আমাদের জমি আজও পর্যন্ত কল্যাণ ট্রাস্টের কোন কাজে লাগানো হয়নি এবং তিনি অভিযোগ করে বলেন এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে দুই বার লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও তিনি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
অপর ব্যক্তি আকরাম হোসেন কল্যাণ ট্রাস্টের মসজিদের মুয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্ব¡ পালন করতেছেন তিনি বলেন আমি দীর্ঘদিন হতে মসজিদের মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব¡ পালন করতেছি এখনো পর্যন্ত কল্যাণ ট্রাস্টের কোন সুযোগ সুবিধা আমরা পাইনি। এ বিষয়ে কল্যাণ ট্রাস্ট এর সদস্য সচিব জনাব সুলতানুল ফেরদৌস নম্র চৌধুরী সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি কল্যাণ ট্রাস্টের কোন টাকা আত্মসাৎ করিনি আমার বিষয়ে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। এ বিষয়ে কল্যাণ ট্রাস্ট এর সভাপতি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে জানাবো।
শবদল হাট কল্যাণ ট্রাস্টের পদাধিকার বলে সদস্য মোঃ জুলফিকার আলী ভূট্রো চৌধুরী,চেয়ারম্যান ভুল্লী ইউনিয়ন পরিষদ ঠাকুরগাঁও। তিনি বলেন শবদল হাট কল্যাণ ট্রাস্ট ব্যপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। যা বিগত সময় কয়েক জন সদস্যসহ ততকালীন জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ জানা্নাে হয় কিন্তু অজ্ঞাত কারণে কোন ফল চোখে পড়েনি, আমি চাই উক্ত বিষয় সুষ্ঠ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এবং শবদল হাট কল্যাণ ট্রাস্টের আয় ব্যায় খুটিয়ে দেখা হোক। লক্ষিত অভিযোগের সত্যতা প্রকাশ করে আইনের আওতায় আনা হোক।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিজ ইশরাত ফারজানা এক প্রশ্নে তিনি বলেন এ বিষয়ে আমি অভিযোগ পেয়েছি এবং খুব দ্রুত প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে কোন দুর্নীতি হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।