admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ১৩ মে, ২০২০ ৭:৫৪ অপরাহ্ণ
মামুনুর রশিদ(মামুন),ঠাকুরগাঁও অফিসঃ ঠাকুরগাঁওয়ে লকডাউনের মধ্যে মরিচ ক্ষেতে পানি প্রবেশ করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে একই পরিবারের ৮ জন। বুধবার (১৩ মে) দুপুর ২ টায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ১৫ নং দেবীপুর ইউনিয়নের ভাগুরা পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,দেবীপুর ভাগুরা পাড়া গ্রামে নুরল ইসলামের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৮) বরেন্দ্র ডিপ টিউবয়েলের মাধ্যমে নিজ জমির ধান ক্ষেতে পানি দিচ্ছিলেন।
পানি দেওয়ার সময় ডিপটিউবলের পাশে মরিচ ক্ষেতে ইঁদুরের গর্তের কারণে একই গ্রামের ইয়াছিন আলীর ছেলে আমিনুল ইসলাম (নেটু) এর মরিচ ক্ষেতে সামান্য পানি প্রবেশ করে। পানি প্রবেশ করাতে রফিকুল ইসলামের সাথে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে আমিনুল ইসলাম নেটু তার উপর অর্তকিত হামলা চালায়। এ সময় নেটু তার পরিবারের লোকজনদের নেটুর উপর হামলা করার মোবাইলের মাধ্যমে খবর দিলে পরিবারের লোকজন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে রফিকুল ইসলামের উপর হামলা চালায়। এ সময় রফিকুল ইসলামের পরিবারের লোকজন বাধা দিতে গেলে তাদের উপর হামলা চালানো হয়। এতে গুরুতর আহত হয় রফিকুল ইসলাম(৩৮),আকতারুল ইসলাম(৩২),খায়রুল (৩৬),আনিস(১৮),ফেন্সি (২৭),শাপলা (২৩)সহ একই পরিবারের ৮ জন।
হামলার শিকার আকতারুল ইসলাম জানান,আমার ভাই রফিকুল ইসলাম তার জমির ক্ষেতে পানি দিচ্ছিলো ইতিমধ্যে নেটুর নামে ব্যক্তির জমির ক্ষেতে সামান্য কিছু পানি প্রবেশ করে। পানি প্রবেশ করায় ইয়াছিন আলীর ছেলে আমিনুল ইসলাম নেটু ও তার ভাই মসলিম উদ্দীন (৫২) ও তার ভাতিজা আলম(৩২),মসলিম উদ্দীনের ছেলে আজিজ(৩০),রাজ্জাক (২৫),রাজু(১৮) ও নেটুর ছেলে জয়নুল (১৭) লাঁঠি দিয়ে হামলা করার সময় বাঁধা দিলে আমাদের উপরও হামলা চালানো হয়। এতে আমরা গুরুতর আহত হই। করোনার মধ্যে হামলা করায় আমরা এর বিচার চাই।
অভিযুক্ত আমিনুল ইসলাম নেটু বলেন,আমার মরিচ ক্ষেতে পানি প্রবেশ করায় আমার অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমি এর প্রতিবাদ করেছি মাত্র। আর তাদের উপর কোন হামলা করা হয়নি। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান,মসলিম উদ্দীনের পরিবারের লোকজন ভালো না। তারা এভাবে মানুষদের সাথে মারামারি করে।
১৫ নং দেবীপুর ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুল বাতেন জানান, মরিচ ক্ষেতে পানি প্রবেশ করায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এক পক্ষ খুব গুরুতর আহত হয়েছে। অভিযোগ সাপেক্ষে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন জানান,সংঘর্ষের ঘটনা আমি শুনেছি অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।