admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ১৩ জুন, ২০২০ ১০:১৬ অপরাহ্ণ
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও’য়ের জেলা প্রশাসক পীরগঞ্জের নির্যাতিত দুই শিশুর পাশে। ১৩ জুন শনিবারে সেই নির্যাতিত দুই শিশুদের বাড়িতে নিজেই যান ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক। এসময় জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম নির্যাতিত শিশু সুমন (১৩) ও কমিরুল ইসলাম (১৬) সাথে ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে ঘটনা সম্পর্কে জানেন ও তাদের সমবেদনা জানান। এছাড়াও দোষীদের যথোপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে বলে তাদের পরিবারকে আশ্বস্ত করেন এবং এই দূর্যোগময় সময়ে তাদের ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়ে দুই পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী ও চিকিৎসার জন্য ৫ হাজার করে দুইটি পরিবারকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নূর কুতুবুল আলম, পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তারুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম।উল্লেখ্য: এ ঘটনায় শুক্রবার (৫ জুন) পীরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে নির্যাতনের স্বীকার সরিফা খাতুন। মামলায় সেনগাঁও ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম, মোতালেব আলীসহ আরও ৭ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার বিবরণে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে মোতালেব আলী তারই প্রতিবেশী গৃহবধূ সরিফা খাতুনকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে সাড়া না দেওয়ায় চুরির অপবাদ দিয়ে গত ২২ মে স্থানীয় ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম, মোতালেব আলীসহ আর ৭ জন মিলে গৃহবধুর ছেলে শিশু সুমন (১৩) ও তার ভাতিজা কমিরুল ইসলাম (১৬) আটক করে। এরপর তারা এক সালিশ বৈঠকের আয়োজন করে।
সালিশে হাত-পা বেঁধে ওই দুই শিশুকে মারপিট করে ইউপি সদস্যসহ তার সহযোগীরা এবং মারপিটের সেই চিত্র ক্যামেরায় ধারণ করে। পরে ভিডিও চিত্র গৃহবধূ সরিফা খাতুনকে দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে ইউপি সদস্য ও তার সহযোগীরা মিলে সরিফা খাতুনকেও মারপিট ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। পরে গৃহবধূর বাড়ি থেকে একটি গরু নিয়ে যায় তারা। পরে বিষয়টি ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম জানতে পারলে তিনি আজকে নির্যাতিত শিশুদের বাড়িতে যান।