হানিফুর আলী, স্টাফ রিপোর্টারঃ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ জানান, এরইমধ্যে ঠাকুরগাঁও জেলা সদরের শুক নদীর সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সীমানা নির্ধারণের পর খতিয়ে দেখা গেছে, নদীর জমিতে অবৈধভাবে যারা দখল করে বসতভিটা স্থাপন করে বসবাস করছে এমন ৩৪ জনকে আগামী সাত দিনের মধ্যে বসতভিটাসহ ঘর-বাড়ি সরিয়ে নিতে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। আর এসব নোটিশ প্রদানের আগে কয়েকবার মৌখিকভাবেও বলা হয়েছে। কিন্তু তাতেও তারা সরে না যাওয়ায় আজ নোটিশ প্রদান করা হয়। নদীর সীমানায় বাড়ি-ঘর থাকলে নদীর গতিপথ বন্ধ হয়ে যাবে। এ কারণেই দ্রুত সময়ের মধ্যে তা অপসারণ করার নির্দেশনা রয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
ঠাকুরগাঁওয়ে অবৈধভাবে নদীর জমি দখল করে বসতভিটাসহ ঘর-বাড়ি নির্মাণ করছে এক শ্রেণির মানুষ। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বসতভিটা সরিয়ে নিতে সাত দিনের সময় দিয়ে ৩৪ জনকে নোটিশ দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। রোববার (২৭ এপ্রিল) উপজেলা প্রশাসনের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনস্থল পরিদর্শন করে এই নোটিশ প্রদান করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম জাকারিয়া, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খাইরুল ইসলামসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খাইরুল ইসলাম জানান, ঠাকুরগাঁও জেলা সদরের ওপর দিয়ে বয়ে চলা শুক নদীর সীমানা নির্ধারণ হওয়ায় নদীর জমি দখল করে অবৈধভাবে যেসব বাড়ি-ঘর স্থাপন করে বসবাস করছে তাদেরকে দ্রুত অপসারণের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারপরও যদি নিজ উদ্যোগ সরে না যায় তাহলে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে স্থাপনা অপসারণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, পাশাপাশি বাকি নদীগুলোর সীমানা নির্ধারণের কাজ চলমান রয়েছে। সেই নদীগুলোর সীমানা নির্ধারণ সম্পন্ন হলে অবৈধ স্থাপনার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।