ফেসবুক থেকে নেওয়া এম এ সামাদ: জীবন-মৃ-ত্যুর সন্ধিক্ষণে সাবেক মন্ত্রী-এমপি একসময়ের দাপুটে নেতা রমেশ চন্দ্র সেন
একটি রাজনৈতিক দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য,দেশের মন্ত্রী ও সাংসদ ছিলেন ঠাকুরগাঁওয়ের রমেশ চন্দ্র সেন। প্রশাসনের প্রটোকল, রাষ্ট্রীয় সব সুযোগ সুবিধা,মানুষের অনগত হওয়া, সবই পেয়েছেন। তবে কখনো কল্পনা করেননি জীবন যুদ্ধের শেষ সময়টা একাকীত্ব কাটাতে হবে। তাও আবার জেল-হাসপাতালের মেলবন্ধনে। মারা যাওয়ার পর চিতায় শেষ বরণ হবে। এমন ভাবনায় স্থির ছিলেন তিনি। শেষ সময়টুকু খোলামেলা জীবন কাটানোর ইচ্ছে ছিল তার। সম্ভব হয়ে ওঠলোনা। শরীরে শতাধিক রোগ নিয়ে সময় কাটছে হাসপাতালের ছোট শয্যা আর কারাগারের ছোট ঘরে।
সবই ছিল,হয়তো এখনো দেশ-বিদেশে বহু কিছু রয়েছে। কিন্তু শেষ সময়টুকু কতটা স্বস্তি দিচ্ছে প্রবীণ এই রাজনৈতিক নেতাকে?
আমাদের হাতে ক্ষমতা দেওয়া হয় হয়তো আমাদের পরীক্ষা করার জন্য। বাকশাল হয়ে ওঠলে এর শেষ দৃশ্য হয়তো কঠিন হয়। পৃথিবীতে উজান-ভাটি ঘটবেই। আজ অথবা আগামীকাল পৃথিবী আপনাকে প্রতিদান দেবেনই৷
জীবনে সবই পেয়েছেন,অথচ সব থেকেও আজ কিছুই নেই। পরিবার নিরুপায় হয়ে বলছে বয়স হয়েছে আর কত? আমরা উদাসীন হয়ে শুধু ছুটছি আর ছুটছি।
আমাদের গন্তব্য কতদূর? আর কত পথ বাকী রয়েছে,জানেন কি?……