admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ১৯ মে, ২০২০ ৮:৪৯ অপরাহ্ণ
সুপার সাইক্লোন আম্পান-করোনাভাইরাস: সংক্রমণ এড়িয়ে কীভাবে মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া যাবে? সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ধেয়ে আসছে সুপার সাইক্লোন আম্পান। এবার এমন ভিন্ন এক পরিস্থিতিতে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত থেকে মানুষের জীবন রক্ষার প্রস্তুতিতে হিমশিম খাচ্ছেন উপকূলের জেলাগুলোর মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং স্বেচ্ছাসেবকরা। সুপার সাইক্লোন আম্পানের আঘাত সামলাতে বাংলাদেশের উপকূলে লাখ লাখ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়ার ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়ানোর বিষয়টি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় আম্পান বুধবার বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বঙ্গোপসাগরে এরকম ঝড় এই শতাব্দীতে প্রথম বলে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ হুঁশিয়ারি দিয়েছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে আনা এবং অনেক মানুষকে একসাথে রাখার ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব রক্ষার বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া হলেও বাস্তবতা বেশ কঠিন।
উপকূলের ১৩ টি জেলায় ২০ লাখ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়ার টার্গেট করা হলেও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মাত্র কয়েক হাজার লোককে নেয়া সম্ভব হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে সরকারের ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির অপারেশন বিভাগের পরিচালক নূর ইসলাম খান বলেছেন, আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষকে নেয়া এবং সেখানে নেয়ার পর সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে তাদেরই সন্দেহ রয়েছে। তবে কিছু ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা তারা করছেন। তিনি বলছেন, ”এইবার আমাদের কাছে খুবই কঠিন, কারণ করোনা সংক্রান্ত কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তাদের আনা, শেল্টারে নিয়ে সেখানে রাখা এবং ব্যবস্থাপনা করা কঠিন হবে। আগে যেমন জোরাজুরি করতে পারতো, বৃদ্ধদের কোলে করে নিয়ে আসতে পারতো, ধরে নিয়ে আসতো – সেটা এবার হবে না হয়তো। কিন্তু আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নেই।
আর যে মানুষরা আসবে, তাদের মধ্যে দুই-একজন করোনা আক্রান্ত থাকতেও পারে। হয়তো তারা ঢাকা থেকে যেতে পারে, নারায়ণগঞ্জ থেকে যেতে পারে। তখন সে আসলে তাকে ঠিকমতো পরীক্ষা করা, তাপমাত্রা দেখা – এই বিষয়গুলো আমাদের কাছে ভীষণ চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়াবে। তবে তারা সাধ্যমত সব ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন। সুপার সাইক্লোনের আঘাতের জন্য উপকূলের যে এলাকাগুলোকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তার মধ্যে সুন্দরবন লাগোয়া সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা এবং পদ্মপুকুর ইউনিয়নে গতকাল থেকেই মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া শুরু হয়।