admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর, ২০২২ ২:০৫ অপরাহ্ণ
হ্যাঁ হ্যাঁ আপনাদের বলছি আর কতদিন মূখোশ পরে থাকবেন ?
এবার মূখোশ খুলে মুখ দেখান,
এখন যদি মুখ না খুলেন তবে কখন মুখ খুলবেন?
বাবার কাঁধে ছেলের লাশ!এখনই তো গর্জে উঠার সময়,
এখনই তো আপনার কলমের আগুন ছুটবে।
এখনই সময় পায়ে পা মেলাবার,
তাই আপনাকে বলছি, আপনাদের মত সুশীল সমাজকেই,
কুকুর মরলে আপনি বিলাপ করেন,হাতি মরলে ফাসির দাবি তোলেন,হরিণ মরলে মোমবাতির মিছিল করেন, তাহলে প্রতিবাদি খুন হলে নীরব কেন?
হ্যাঁ হ্যাঁ আমি আপনাদের বলছি, আমি বুদ্ধিজীবিদের বলছি,
বুকে গরম বুলেট নিয়ে মুখ হতে বের হচ্ছে তাজা রক্ত মৃদুস্বরে বলছি “আমি বাঁচবোনি” দেহটা থরথর করে কাপছে আমি তোমাকে ভুলিনি, আপনারা কী ভুলে গেছেন?
আসলে আমি সেই মইদুলের কথা বলছি।
যে শিক্ষিত বেকার চাকুরী চাইতে গিয়ে পুলিশের বুলেটের আঘাতে তাজা প্রাণ দিয়েছিলো।
আমি তাঁর কথা বলছি, আসলে আমি বাংলার কথা বলছি।
জ্যাঠা-ভাইপো পুলিশ অফিসার মন্দিরের পুরোহিত,
ইয়ার দোস্ত দোস্ত করে যে মেয়েটিকে ধর্ষণ করলো সেই মেয়েটির কথা বলছি!
আমি অশিক্ষার কথা বলছি আমি কামুদুনীর কথা বলছি,
আমি হাতরাসের কথা বলছি,
আসলে আমি আমার মহান দেশের কথা বলছি।
যেদেশের সংবিধানে সাম্য- মৈত্রীর কথা লেখা আছে,
শুধু মাত্র গোমাংস রাখার সন্দেহে আখলাকের গোটা পরিবারকে খুন হতে হলো!
তবরেজ আনসারিকে পিটিয়ে মারা হলো!
খুন হতে হয় খলিল আহমেদকে,সওকত মোল্লাকে,
আমি তাঁদের কথা বলছি,
আসলে আমি বিচার ব্যবস্থার কথা বলছি।
রেজওয়ানুরের মামলার কথা বলছি,
সর্বশ্রেষ্ঠ তনন্তকারী সংস্থার কথা বলছি।
আমার ভাইয়ের কবর খোঁড়া হয়েছে, তাঁর পচা-গোলা দেহটা আবারও ছিন্ন করেছে,
মায়ের চোখের জল শুকায়নি, বাবা পাথর হয়ে গেছে,
ভাইয়েরা-বোনেরা হাহাকার করছে।
বন্ধুকের সামনে চুপ থেকেছে প্রতিবেশী,
তবে আমি কী নুইয়ে থাকবো?
না আমি শিরদাড়া সোজা করে গর্জে উঠবো?
হাতে তুলে নিবো অস্ত্র?
আমি এখন বিদ্রোহের কথা বলছি,
আমি প্রতিবাদের কথা বলছি,
আমি এখন আনিসের কথা বলছি,
আসলে আমি নিজের কথা বলছি,
আমি মনুষ্যত্বের কথা বলছি,
আমি মানবিকতার কথা বলছি,
আমি রাষ্ট্রের কথা বলছি,
আমি শাসকের কথা বলছি,
আমি শাসনের কথা বলছি,
আমি আমাদের কথা বলছি।