admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ১ জুলাই, ২০২০ ১২:৪৩ অপরাহ্ণ
এবার চীন থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে চলেছে প্রাণঘাতী মহামারী G4, সতর্ক থাকুন। এই মুহূর্তে সারা বিশ্বে কোনো দেশ যদি সবার মাথাব্যাথার করণ হয়ে থাকে, তাহলে সে হল চীন। কারণ চীনই হল সেই দেশ যারা বিশ্বকে করোনাভাইরাসের মতো প্রাণ প্রাণঘাতী ভাইরাস উপহার দিয়েছে। কিন্তু করোনা যেতে না যেতেই আরও এক প্রাণঘাতী ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে চলেছে চীন থেকে। আরও এক মারাত্মক সংক্রমক ব্যাধির সঙ্গে লড়াই করতে হতে পারে বিশ্ববাসীকে। সোমবার আমেরিকার বিজ্ঞান পত্রিকা PNAS-এ এই আশঙ্কার কথা উঠে এসেছে। মার্কিন গবেষকরা জানাচ্ছেন, এই মারণ ভাইরাসের নাম G4 সোয়াইন-ফ্লু এবং এটিরও উৎসস্থল হল সেই চীন।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন ২০১৯ সালের প্রাণঘাতী মহামারী সোয়াইন-ফ্লু H191-এর পরিবর্তিত নতুন রূপ হল এই G4 নামক সোইয়ন-ফ্লু। এটি আগের সোয়াইন-ফ্লু থেকে আরও বেশী মারাত্মক ও শক্তিশালী। চীনের “সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশান-এর বিজ্ঞানীরা বলছেন, সার্বিক ভাবেই প্রাণঘাতী মহামারী হয়ে ওঠার ক্ষমতা রাখে এই G4 মারণ ভাইরাস, যা গোটা বিশ্বের কাছে খুবই চিন্তার বিষয় হতে চলেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চীনের গবেষকরা ২০১১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৩০ হাজার শুয়োরের লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেন। দীর্ঘ ৭ বছর ধরে ১০ টি অঞ্চল ঘুরে ঘুরে গভীরভাবে এই পরীক্ষা চালানো হয়। পরীক্ষা করতে গিয়ে গবেষকরা এই সময়ের মধ্যে প্রায় ১৭৯ টি সোয়াইন-ফ্লু ভাইরাস খুঁজে পেয়েছেন যা মানুষের পক্ষে মারাত্মক প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার ক্ষমতা রাখে। এর পরবর্তী ধাপের পরীক্ষা শুরু করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা জানতে পারেন এই G4 ভাইরাস হল অত্যন্ত ভয়াবহ ও প্রাণঘাতী। এই ভাইরাস খুব অনায়াসেই মানবদেহের কোষের প্রতিলিপি তৈরি করে ফেলতে পারে, যা সবচেয়ে বড় ভয়ের ব্যাপার।
তাছাড়া ঋতুপরিবর্তনের সময় সর্দিকাশির ভ্যাকসিন দ্বারা এই G4 নিয়ন্ত্রণ করা কোনোমতেই সম্ভব নয়। বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে এসেছে, ইতিমধ্যেই চীনের শুয়োরের মাংস বিক্রেতাদের ১০.৪ শতাংশ এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। শুধু তাই নয় চীনের ৪.৪ শতাংশ সাধারণ মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে গেছে এই সংক্রমণ। এমত অবস্থায় গবেষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এখনই দ্রুত ব্যবস্থা না নিতে পারলে, অদূর ভবিষ্যতে এই G4 সারা বিশ্বে বড়সড় মহামারী রূপে ছড়িয়ে পড়তে পারে।