ইব্রাহিম আলম সবুজ || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর, ২০২৫ ৫:২১ অপরাহ্ণ
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ী ইউনিয়নে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রাজু মিয়ার ও তার ভাই এর বিরুদ্ধে ৫ই আগস্টপূর্ব দলীয় প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বাজি, চাঁদাবাজি ও বুড়াবুড়ি বাজারের বিভিন্ন সরকারি কাজে বাধাঁ প্রধান সহ,সাধারণ মানুষকে হয়রানির মতো গুরুতর অভিযোগ। একসময়ের ছাত্রদল নেতা রাজু ২০১৭-১৮ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েই এলাকায় একক আধিপত্য কায়েম করেছিলেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
একাধিক সূত্র ও এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা যায়, রাজু মিয়া ২০১৬ সাল পর্যন্ত বুড়াবুড়ী ইউনিয়ন ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। ২০১৭-১৮ সালের দিকে কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন মঞ্জুর হাত ধরে তিনি তার বাবা ইয়াকুব আলী ও ছোট ভাই সাজুকে নিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। এরপর থেকেই তার ভাগ্য বদলে যায়।
অভিযোগ রয়েছে, সেময় দলের প্রভাব খাটিয়ে এবং স্থানীয়ভাবে প্রভাব বিস্তার করে রাজু ও তার ভাই ইউনিয়নের বিভিন্ন টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি ও দখলদারিতে জড়িয়ে পড়েন। গত ৭ জানুয়ারি, ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে এলাকায় প্রভাবশালী ভূমিকা রাখেন।
সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগটি উঠেছে বুড়াবুড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে পিয়ন ও দপ্তরি নিয়োগকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ অনুযায়ী, চারজন কর্মচারী নিয়োগের সময় রাজু চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন। ভুক্তভোগী পরিবারগুলো সেসময় প্রভাবশালী এই নেতার বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছিলেন না।
স্থানীয় এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রাজু ও তার বাবার সুদের কারবার পুরনো। সেসময় আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ায় জুলুম-অত্যাচার আরও বেড়ে গিয়েছিলল। তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস এলাকার কারও ছিলোনা। যেহেতু এখন আওয়ামী লীগ সরকার পালিয়েছে, অনতিবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করা হোক।
এসব অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত রাজু মিয়ার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।এলাকার সাধারণ মানুষ ও ভুক্তভোগীরা বলছেন, এসব অভিযোগের একটি নিরপেক্ষ তদন্ত হলে প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসবে এবং এলাকায় শান্তি ফিরে আসবে।
মোবাঃ ০১৭১২০০০৫৪০