admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ১৯ মার্চ, ২০২০ ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ
ইতালিতে একদিনে রেকর্ড পুরো ইটালি গত দুই সপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ রয়েছে ইতালিতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে ৪৭৫ জন মারা গেছেন, যা প্রাদুর্ভাব ছড়ানোর পর থেকে সেখানে একদিনে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বেশি। এনিয়ে দেশটিতে প্রায় ৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হলো করোনাভাইরাসের কারণে। ইতালিতে ৩৫ হাচার ৭১৩ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪ হাজারের বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়া লোমবার্ডি অঞ্চলে একদিনে সর্বোচ্চ ৩১৯ জন মারা গেছে। করোনাভাইরাসে চীনের পরে পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দেশ ইতলি। এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে অন্তত ৮ হাজার ৭৫৮ জন মারা গেছেন, যাদের অধিকাংশই ছিলেন চীনে। সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত দুই লাখের বেশি মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা গেছে, যার মধ্যে ৮০% এর বেশিই ইউরোপে ও পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে – বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে যার অনেকাংশই এশিয়ার মধ্যে পড়ে।

অনেক দেশেই মানুষের মধ্যে সামাজিকভাবে দূরত্ব বজায় রাখার জন্য কঠিন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। প্রধান প্রধান অনুষ্ঠানগুলো বাতিল করা হয়েছে যেন সংক্রমণের হার কমে এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ না পড়ে। বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস ঘেব্রেয়েসাস বলেন, মহামারি নিয়ন্ত্রণে দেশগুলোকে অবশ্যই মানুষকে পরীক্ষা, চিকিৎসা এবং ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা মানুষ খুঁজে বের করার পাশাপাশি মানুষকে আলাদা (আইসোলেট) করতে হবে। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ইতলি অবরুদ্ধ পরিস্থিতিতে রয়েছে। সেখানকার সরকার ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্ট করছে। সেখানকার মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়া হলেও মৃত্যুর সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইমার্জেন্সির পরিচালক মাইক রায়ান ধারণা করেছেন, ইতলির এই পরিস্থিতির কারণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মধ্যে সংখ্যায় ‘আশ্চর্য রকম বেশি মানুষের মধ্যে সংক্রমণ হওয়া এবং জনসংখ্যায় বয়োবৃদ্ধ নাগরিকের সংখ্যা বেশি হওয়া। যুক্তরাষ্ট্রের কাইজার পারমানেন্টে গবেষণা কেন্দ্রে এরই মধ্যে মানুষের ওপর করোনাভাইরাসের প্রতিষেধকের প্রথম পরীক্ষা চালানো হয়েছে, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটি নিশ্চিতভাবে কাজ করবে কিনা তা জানতে বেশ কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। জনশূন্য হয়ে পড়েছে ইটালির শহর, সড়ক, পর্যটন কেন্দ্রগুলো ।
ইউরোপের অন্যান্য জায়গার পরিস্তিতি কী?
স্পেনে এর মধ্যে ৫৯৮ জন মারা গেছে এবং ১৩ হাজার ৭১৬ জন সংক্রমিত হয়েছে। ফ্রান্সে সংক্রমিত হার অন্তত ১৬% বৃদ্ধি পেয়েছে মঙ্গলবার, দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৭৩০ জনে। মৃত্যু হয়েছে ১৭৫ জনের, যাদের মধ্যে ৭% এর বয়স ছিল ৬৫ বছরের নিচে। যুক্তরাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৪’এ। জার্মানিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ১২ জন এবং ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ১৯৮ জনের মধ্যে। টেলিভিশনে দেয়া এক বক্তব্যে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল জার্মানদের অনুরোধ করেছেন যেন তারা নিষেধাজ্ঞা মেনে চলেন এবং মহামারি পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারকে সহায়তা করে। বেলজিয়ামে এখন পর্যন্ত ১৪ জন মারা গেছে এবং ১ হাজার ৪৮৬ জনের মধ্যে শনাক্ত করা গেছে রোগ।